• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    নতুন মৌসুমে পুরনো সিটিকেই দেখল আর্সেনাল

    নতুন মৌসুমে পুরনো সিটিকেই দেখল আর্সেনাল    

    ২২ বছর পর আর্সেনালের ডাগ আউটের মানুষ বদলেছে, সেখানে বসেছিলেন উনাই এমেরি।  এমিরেটেসে এমেরির শুরুর পরীক্ষাটাই ছিল কঠিন। চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দারুণ কিছু করে দেখানো হয়নি। মলিন সেই আর্সেনালকেই দেখা গিয়েছে নতুন কোচের অধীনেও। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির ধার বেড়েছে আরও। নতুন মৌসুমেও সেই পুরনো সিটিকেই দেখল প্রিমিয়ার লিগ। অপ্রতিরোধ্য, দুর্দান্ত। আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারিয়ে  টানা ৮ বারের মতো ম্যান সিটি মৌসুম শুরু করল জয় দিয়েই।



    ম্যান সিটির বিপক্ষে এমেরির দল নির্বাচনে চমক থাকলেও, মাঠের খেলায় এলোমেলোই ছিল গানাররা। ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার গুয়েনদজু হতাশ করেছেন। মাইটল্যান্ড-নিলস অবশ্য খেলছিলেন ভালোই, কিন্তু চোট কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার। ৩৫ মিনিটে বদলি হয়ে ছেড়েছেন মাঠ। এসবের অনেক আগেই অবশ্য সিটি তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছিল আর্সেনালের মাঠে। ৯ মিনিটেই রাহিম স্টার্লিং ঢুকে পড়েছিলেন আর্সেনালের ডিবক্সের ভেতর। পিটার চেক বাধা হয়ে না দাঁড়ালে তখনই এগিয়ে যায় সিটি। চেক অবশ্য খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি স্টার্লিংকে। ১৪ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে কয়েকজন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজের ৫০ তম গোলটা করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপ থেকে ফেরা কেভিন ডি ব্রুইন, ডেভিড সিলভারা ছিলেন না একাদশে, ছিলেন না লিরয় সানেও। তবুও মাহরেজ, আগুয়েরো, স্টার্লিং মিলেই ভোগাচ্ছিলেন আর্সেনালকে। 

    আর্সেনালকে আসলে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন পিটার চেকই। ২৮ মিনিটে প্রথমে রিয়াদ মাহরেজের ফ্রি কিক ঠেকান চেক, রিবাউন্ডে আবার শট করেছিলেন আইমেরিক লাপোর্তে। সেটাও ঠেকিয়ে দিয়েছেন চেক। অথচ এর কিছুক্ষণ আগেই একটা গড়বড় পাকিয়ে ফেলেছিলেন আর্সেনাল গোলরক্ষক।ব্যাকপাস রিসিভ করে মারতে গিয়ে, প্রায় নিজের গোলবারেই ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন সেটা। অল্পের জন্য কর্নারে রক্ষা পেয়ে যান সেই দফায়।   

    প্রথমার্ধে মাহরেজই আরও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন, কোণাকুণি শটে অবশ্য সে দফায় আর লক্ষ্যে শট করা হয়নি তার। আর্সেনাল ব্যর্থ নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতেই, প্রথমার্ধে অ্যারন রামসের কল্যাণে একবার ভালো একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হেনরিখ মিখিতারিয়ানকে শট করার সুযোগ দেননি লাপোর্তে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই রামসেকে বসিয়ে ছকে পরিবর্তন আনতে হয় এমেরিকে। অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত মাঠে নেমেই ঝলক দেখিয়েছিলেন। কিন্তু স্বপ্নটা সত্যি করতে পারেননি, আর্সেনালেরও আর ফিরে আসা হয়নি। ৫৬ ডিবক্সের বাইরে থেকে করা শটটাই ছিল আর্সেনালের তৈরি সেরা সুযোগ।   

    ম্যাচের ঘন্টাখানেক পার হওয়ার পরে মাহরেজের জায়গায় নেমেছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। এর ৩ মিনিট পর সার্জিও আগুয়েরোকে ওয়ান অন ওয়ানে আটকে দিয়ে আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন চেক। ব্রুইনের পরে হেসুস, সানেরাও নেমেছিলেন। কিন্তু আর্সেনালের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়ালেন বেঞ্জামিন মেন্ডি। এই লেফটব্যাকই ছিলেন সিটির দুই গোলের উৎসব। ৬৪ মিনিটে তার ক্রস থেকেই বের্নার্দো সিলভা করেন দ্বিতীয় গোল। পেপ গার্দিওলাও স্বস্তি ফিরে পান এরপর।  হেসুস, সানেদের নামানোর সিদ্ধান্ত এরপরেই নিয়েছিল গার্দিওলা। 

    দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার আর্সেনালকে ভুগতে হয়েছে আরও। কিছুক্ষণ বলের দখল পেলেও, ভালো ফিনিশের অভাবে হাফ চান্স গুলো থেকে দারুণ কিছু করতে পারেননি অবামেয়াংরা। সিটি গোলরক্ষকের একটা উপহারও হেলায় হারিয়েছেন মেসুত ওজিল। সিটির দুই গোলের জয়েই তাই শেষ হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের এই মৌসুমের প্রথম 'বিগ ম্যাচ'।