ভয়ঙ্কর সিটিকে দেখল হাডার্সফিল্ড
ইতিহাদে কি প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিল হাডার্সফিল্ড? হয়ত হার নিশ্চিত জেনেই, অথবা অঘটন ঘটিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। লিগে নিজেদের মাঠে প্রথম ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম ম্যাচটা যেমন হওয়ার কথা ছিল তেমনই হয়েছে। হাডার্সফিল্ড কি চেয়েছিল, সেই প্রশ্ন ম্যাচ শুরুর পরই মিলিয়ে গেছে। হাডার্সফিল্ডের জালে গোলউৎসব করে ছেড়েছে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে নিজের নবম হ্যাটট্রিক করেছেন সার্জিও আগুয়েরো।
সিটির ভয়ঙ্কর রূপটা শুরু থেকেই দেখেছে হাডার্সফিল্ড। সেই তুলনায় গোল হজম করেছে একটু দেরি করেই। ২৫ মিনিটে সিটির প্রথম গোলের উদযাপনে রঙ চড়েছে আরও বেশি। গোলের অ্যাসিস্ট যে করেছেন এডারসন মোরায়েস। সিটিজেনদেড় গোলরক্ষকের এই কীর্তি এবারই প্রথম। লং বল পাঠিয়েছিলেন আগুয়েরোকে। সেই বল ঠেকাতে আবার হাডার্সফিল্ড গোলরক্ষক বেন হামের এগিয়ে এসেছিলেন। তাকে বোকা বানিয়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে চিপে সুন্দর আক্রমণের সুন্দর সমাপ্তি টানেন আগুয়েরো।
আগুয়েরোর সঙ্গে শুরু থেকেই ছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। এই জুটি সাধারণত একসঙ্গে খেলেন কম। আগুয়েরোর পর গোল করলেন তিনিও। ৩১ মিনিটে বাঁ পায়ের শটে হেসুসও ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্বকাপের খারাপ সময়টা পেছনেই ফেলে এসেছেন তিনি। সেই আঁচ পড়তে দেবেন না সিটিতে। কেভিন ডি ব্রুইনের ইনজুরিতে কৌশল বদলে ফেলেছিলেন পেপ গার্দিওলা। ৩ জনের ব্যাকলাইনের সঙ্গে ৫ জনের মিডফিল্ডে বেঞ্জামিন মেন্ডি ছিলেন লেগট উইংব্যাক। তাতে আরও ভয়ঙ্কর মেন্ডি। ৩৫ মিনিটে তার ক্রসটা আটকাতে পারেননি হামের। আগুয়েরো ছিলেন জায়গামতো, দৌড়ে গিয়ে গোলরক্ষকের হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বল আবার ঠেলে দিয়েছেন জালে। প্রথমার্ধ শেষের আগেই ৩ গোলে এগিয়ে সিটি। অবশ্য ওই স্কোরলাইনেই বিরতিতে যাওয়া হয়নি গার্দিওলার দলের। লং থ্রো থেকে একটা গোল খেয়ে বসে ঘরের দল। ৪৩ মিনিটে জন স্টানকোভিচের গোলটা যে কেবল স্বান্তনাই যোগাবে সেটা তখনই বলে দেয়া যাচ্ছিল।
বিরতির পর তিন মিনিটের মধ্যেই আবার তিন গোলের ব্যবধানটা ফিরে পায় সিটি। ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করেন ডেভিড সিলভা। আগুয়েরোও হ্যাটট্রিকটা আগেই পেতে পারতেন। ৫৭ মিনিটে একবার বারপোস্টে লাগিয়েছেন বল, এক মিনিট পর সহজ সুযোগ পেয়ে মেরেছেন ওপর দিয়ে। অবশ্য আফসোস ভুলেছেন ৭৫ মিনিটে। এবারও গোলের উৎস সেই মেন্ডি, তার বাঁ প্রান্ত থেকে করা ক্রসে ফ্লিক করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আগুয়েরো। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে আগুয়েরোর চেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক আছে কেবল অ্যালান শিয়ারের (১১)। শেষদিকে ম্যাচটা অস্বস্তিতেই পরিণত হয়েছিল হাডার্সফিল্ডের। সেটা আরও বেড়েছে আত্মঘাতী গোল হজম করে। বদলি লিরয় সানের শট গোলরক্ষক ঠেকালেও, পরে নিজেদের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগেই সেটা পরিণত হয়েছে গোলে। আর তাতেই পূরণ হয়েছে সিটির আধ ডজন গোল।