ব্রাইটনে বিবর্ণ ইউনাইটেড
মৌসুম শুরুর আগে হোসে মরিনহো সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। দলবদলের বাজারে যথেষ্ট সক্রিয় না হওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য কঠিন মৌসুম অপেক্ষা করছে। সেই সতর্কবার্তার ফল যে এতো তাড়াতাড়িই পেয়ে যেতে হবে সেটা হয়ত মরিনহো নিজেও আশা করেননি। গত কয়েক সপ্তাহ মাঠের চেয়ে বরং মাঠের বাইরের খবরে বেশি শিরোনাম হয়েছেন তিনি। এবার অবশ্য মাঠের খেলাতেই হলেন। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিয়নের মাঠে ৩-২ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগের শুরতেই ধাক্কা খেয়েছে ম্যান ইউনাইটেড।
মে মাসে ম্যান ইউনাইটেডকে হারিয়ে নিজেদের প্রিমিয়ার লিগে টিকিয়ে রেখেছিল ব্রাইটন। সেটাও চমক ছিল। কিন্তু কমিউনিটি স্টেডিয়ামেও যে আরও একবার ব্রাইটনেই চমকে যাবে ইউনাইটেড সেটার সম্ভাবনা ছিল আরও কম। ব্রাইটনে দলের সঙ্গে যাত্রাই করেননি অ্যালেক্সিস সানচেজ। আক্রমণভাগে রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে নেমেছিলেন হুয়ান মাতা আর অ্যান্থনি মার্শিয়াল। ফ্রেড মিডফিল্ডে ছিলেন শুরু থেকেই। আন্দ্রেয়াস পেরেইরা আর পল পগবার সঙ্গে জুটি বেঁধে। তবুও ইউনাইটেডের শুরুটা ভালো হয়নি। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে ব্রাইটন। ২৫ মিনিটে সুলি মার্চের নিচু ক্রসে ফ্লিক করে গোল পেয়ে যান গ্লেন মারি। সেই গোলের উৎসব না থামতেই ৩ মিনিটের ভেতর আবারও এগিয়ে যায় ব্রাইটন। কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়েছিল ইউনাইটেড, বিপদ হয় সেখান থেকেই। শেইন ডাফি গোল করে ব্রাইটনকে অসম্ভব কিছুর স্বপ্ন দেখাতে থাকেন ম্যাচের আধ ঘন্টা পেরুনোর আগেই।
অবশ্য বিরতির ১১ মিনিট বাকি থাকতে লুকাকু মৌসুমের প্রথম গোল করে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন ইউনাইটেডের ডাগআউটে। কিন্তু সেই লড়াইও স্থায়ী হয় মিনিট দশেক। এরিক বায়ির ফাউলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাইটন। আগের ৭ পেনাল্টির কোনোটাই ঠেকাতে পারেননি ডি গিয়া। প্রিমিয়ার লিগে তিনি পেনাল্টি সেভ করেছেন মাত্র দুইবার। সেই সংখ্যাটাও আর বাড়াতে পারেননি ইউনাইটেড গোলরক্ষক। বেড়েছে স্পটকিক ঠেকাতে না পারা ম্যাচের সংখ্যা। পেনাল্টি থেকে প্যাসকেল গ্রস প্রথমার্ধ শেষের আগেই দুই গোলের লিড ফিরিয়ে দেন দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ইউনাইটেডের চেহারা কিছুটা ফিরেছিল। তবে স্বরূপে আর ফেরা হয়নি। গোল করার মতো নিশ্চিত সুযোগও তৈরি করতে পারেনি রেড ডেভিলরা। সিগালদের মনোসংযোগেও চিড় ধরেনি তাতে। যদিও ইনজুরি সময়ে তারাও একটা পেনাল্টি দিয়ে বসে ইউনাইটেডকে। ডিবক্সের ভেতর ডাফি ফাউল করেছিলেন বদলি মারুয়ন ফেলাইনিকে। আগের ম্যাচে শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন পগবা। এই ম্যাচে করলেন শেষদিকে। তখন আর ম্যাচ বাঁচানোরও সময় প্রায় শেষ। আগের ম্যাচের মতো গোল করলেও পগবাকে এবার ফিরতে হয়েছে বিপরীত ভাগ্য নিয়ে, ইউনাইটেডের হার সঙ্গে করে নিয়ে।