• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লিভারপুলের প্রথম চারে চার

    লিভারপুলের প্রথম চারে চার    

    ১৯৯০ সালে শেষবার লিগের প্রথম ৪ ম্যাচ জিতেছিল লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগ চালু হওয়ার পর এবারই প্রথম শুরুর ৪ ম্যাচ জিতল তারা। লেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে নতুন করে পুরনো স্বপ্ন ছোঁয়ার পথেই হাঁটছে কপরা। কিন্তু সেই স্বপ্নের পালে আজকের ম্যাচটা খুব বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে না হয়ত। তবুও শেষ পর্যন্ত জয়টাই সবকিছুকে ছাপিয়ে হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ। লেস্টার সিটির মাঠে জয়টা সহজ নয়, জিততে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হয়েছে লিভারপুলকে।  

    প্রিমিয়ার লিগে আগের ম্যাচে ছন্দময় লিভারপুলকে পাওয়া যায়নি। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই অবশ্য সেটা ভুলিয়ে দিচ্ছিল লিভারপুল। কিন্তু প্রথমার্ধের পর আর সেই ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা নিয়ন্ত্রণ করেছে ঘরের দলই। আর লিভারপুলও প্রথমার্ধেই জয়ের কাজ এগিয়ে রেখেছিল, সেটার ওপর ভর করেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে ফিরেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।



    ম্যাচের ৪ মিনিটেই রবার্তো ফিরমিনোর শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ক্যাসপাস স্মাইকেল। রিবাউন্ডে বলও পেয়ে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু সহজ কাজটা আর করতে পারেননি, মেরেছেন বাইরে দিয়ে। সেই আফসোসে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ লিভারপুলকে পুড়তে দেননি সাদিও মানে। অ্যান্ডি রবার্টসন বাম প্রান্ত দিয়ে মোটামুটি লড়াই করেই ডানদিকে ডিবক্সের ভেতর বল পাঠিয়েছিলেন। হ্যারি ম্যাগুয়ার বলের নাগাল পাননি ঠিকমতো, মানের দুর্দান্ত ফিনিশে সেই আক্রমণ থেকেই গোল পেয়ে যায় লিভারপুল।

    প্রথমার্ধে লিভারপুলের সামনে মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি লেস্টার সিটি। ২৩ মিনিটে ডেমারাই গ্রের একটি শট ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন বেকার। লিভারপুল গোলরক্ষককে প্রথমার্ধে এর বেশি কিছু করতে হয়নি। বিরতির সময় পর্যন্ত লিভারপুলের প্রথমার্ধটা ছিল নিখুঁত। বিশেষ করে ৪৫ মিনিটে লেস্টার সিটিকে কর্নার থেকে জোনাল মার্কিং ঠিকমতো না করার শাস্তিটা দিয়ে দ্বিতীয় গোলটাও তুলে নেওয়ার পর জয়টা তখনই দেখতে পাচ্ছিল লিভারপুল। হেডে গোলটা করেছিলেন ফিরমিনো। 

    দ্বিতীয়ার্ধেই বদলে গেল খেলার চেহারা। এবার নিয়ন্ত্রণ অদল-বদল। শুরু থেকেই চাপে পড়ে গেল লিভারপুল।  মিনিটে জেমস ম্যাডিসনের শট জো গোমেজ ডিবক্সের ভেতর ব্লক না করলে তখনই একটা ফল পেয়ে যেতে পারত লেস্টার সিটি। এর মিনিট তিনেক পর কর্নার থেকে ওয়েস মর্গান নেয়ার পোস্টে বলের নাগাল পেলেও হত। ফক্সদের আক্রমণে তোড়ে একটা গোল পাওয়া তখন সময়ের ব্যাপারই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই গোলটা এল  ৬৩ মিনিটে। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম গোলটা হজম করলেন অ্যালিসন। সেটাও নিজের দোষেই। ভার্জিল ভ্যান ডাইক ব্যাকপাস দিয়েছিলেন, সেটা অবশ্য চাপে পড়েই। কিন্তু অ্যালিসন আত্মবিশ্বাসী হতে গিয়ে বল হারালেন, তার গলদ থেকেই গোল করে বসলেন রাচিদ গেজ্জেল।

    কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ওই গোলেই ম্যাচে ফিরে আসে লেস্টার সিটি। কিন্তু এরপর অবশ্য ঘরের সমর্থকদের হতাশই করেছে তারা। জেইমি ভার্ডি ছিলেন না নিষেধাজ্ঞার কারণে। বদলি ইহেনাচো, ওকাজাকিরা গুরুত্বপূর্ণ সেই আরেকটা গোল আর এনে দিতে পারেননি দলকে। আর লিভারপুলও শেষদিকে লাগাম টেনে ধরে ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।