নিউক্যাসেলের বিপক্ষে সিটির কষ্টার্জিত জয়
ঘরের মাঠে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে জয়টা আরেকটু সহজই হয়ত আশা করেছিলেন পেপ গার্দিওলা। আগের ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর পর অবশ্য এই জয়ে খুশিই হওয়ার কথা ম্যানচেস্টার সিটি ম্যানেজারের। ইতিহাদে দারুণ দুই গোলে নিউক্যাসেলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা।
শুরুটাই অবশ্য দারুণ ছিল ম্যান সিটির। এগিয়ে যেতে সময় লেগেছে মাত্র ৮ মিনিট। বাম দিক থেকে কাট করে ডিবক্সের ভেতর ঢুকে কোণাকুণি শট করেছিলেন রাহিম স্টার্লিংয়, তাতেই গোল। শুরুতে এগিয়ে গিয়ে সিটির আধিপত্য বাড়ে আরও। সেটা অবশ্য অনুমিতই ছিল। সার্জিও আগুয়েরো আর গ্যাব্রিয়েল হেসুসরা দুইবার শট করেছিলেন গোলে। প্রথমজন একটুর জন্য লক্ষ্য মিস করেছেন ডিবক্সের বাইরে থেকে। আর হেসুস ভেতর থেকেও মেরেছেন সোজা গোলরক্ষক বরাবর। এই দুইজনের মিসের আক্ষেপটা প্রথমার্ধ শেষের আগেই পুড়িয়েছে সিটিকে। রাফায়েল বেনিটেজের দল অনেকটা অবাক করেই ম্যাচে ফেরে। আধ ঘন্টা পেরুনোর আগেই ইয়েডলিনের গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য সিটি তাদের কাঙ্ক্ষিত গোলটা পেয়ে যায়। সেটাও দারুণ ভঙ্গিতে। কাইল ওয়াকারের আগুনে শট আছড়ে পড়েছে নিউক্যাসেলের জালে, ৫২ মিনিটের ওই গোলেই শেষ পর্যন্ত জিতেছে সিটি। জয়ের ব্যবধানটা আরও বাড়তেই পারত। এগিয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকটি সাজানো আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগগুলো এসেছিল ডেভিড সিলভার কাছে। ৬৫ মিনীটে বের্নার্দো সিলভার শুরু করেছিলেন আক্রমণ, আগুয়েরোর ক্রস থেকে সিলভা দুইবার শট করেই লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। এর মিনিট পাঁচেক পর হেডে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন বাম দিক থেকে আসা ক্রসে। সে দফায় নাগালই পাননি তিনি। নিউক্যাসেলও বাকি সময়ে সিটির রক্ষণকে দুশ্চিয়ান্তায় ফেলার মতো কিছু করতে পারেনি, তাই এক গোলের ব্যবধানেই জয়টা নিশ্চিত হয় সিটির।
এর আগে চেলসিকেও অবশ্য জয়ের জন্য কষ্টই করতে হয়েছে। আবারও শেষদিকেই খেলার মোড় ঘুরিয়েছে মরিসিও সারির দল। ৭২ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় পেদ্রো রদ্রিগেজই ডেডলকটা খুলেছিলেন। এর আগে মার্কোস আলোনসো বারপোস্টে মেরেছিলেন, এর কাছাকাছি যাওয়া হয়নি চেলসির। পেদ্রোকেই তাই চেলসির জয়ের নায়ক বলা যায়। বাঁ পায়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন পেদ্রো। এর মিনিট ১২ পর এডেন হ্যাজার্ড নিশ্চিত করেন জয়।