• সিরি আ
  • " />

     

    জুভেন্টাসের টানা তিন, বাড়ল রোনালদোর অপেক্ষা

    জুভেন্টাসের টানা তিন, বাড়ল রোনালদোর অপেক্ষা    

    গোল করার জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করেছেন। দূর থেকে শট নিয়েছেন, একটুর জন্য হেড চলে গেছে পোস্ট ঘেঁষে, কাছ থেকে বল পেয়েও শট পোস্টে রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সিরি আ তে তিন ম্যাচ শেষেও গোলহীন রইলেন রোনালদো। তবে পারমাকে শেষ পর্যন্ত জুভেন্টাস হারিয়েছে ২-১ গোলে, রোনালদো এটাকেই হয়তো দিন শেষে বড় করে দেখতে চাইবেন। তিন ম্যাচে তিন জয়ে জুভেন্টাস উড়ছেই।

    অন্য কারও জন্য টানা তিন ম্যাচে গোল পাওয়া এমন কিছু নয়। কিন্তু লোকটা রোনালদো বলে, আর নতুন মিশন ইতালিতে বলেই প্রত্যাশার পারদও বেশি চড়া ছিল। এই ম্যাচে তো রোনালদোকে আরও ভালোমতো কাজে লাগাতে একাদশেও পরিবর্তন এনেছিলেন জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। দিবালা, কস্তাকে আবারও বসিয়ে সামনে রোনালদোর সঙ্গে খেলিয়েছেন মানজুকিচ ও বার্নাদেস্কিকে। কিন্তু মানজুকিচ গোল পেলেও রোনালদোর আর গোল পাওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত সিরি আ তে ১৬টিরও বেশি শট হয়ে গেছে, কিন্তু গোলটা আর হয়নি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে রোনালদোর চেয়ে বেশি শট নিয়েও গোলহীন আর কোনো খেলোয়াড় নেই।

    জুভেন্টাসের অবশ্য গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র দুই মিনিট। ডান দিক থেকে হুয়ান কুয়াদ্রাদোর ক্রস উড়ে এসে পড়ে মানজুচিকের মাথায়। ভাগ্য ভালো, হেডটা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে আবার মানজুকিচের মাথাতেই। সহজ সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি। তবে পারমা হাল ছাড়েনি, বরং গোল খেয়ে সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। কখনো ভাগ্য সহায় হয়নি, শট ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে। কখনো জুভেন্টাস গোলরক্ষক শেজনি দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন। আর কখনো নিজেরাই সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩৩ মিনিটে এসে সমতা ফেরায়। দারুণ এক আক্রমণ থেকে রবার্তো ইংলেসের ক্রসে ট্যাপ ইন করে বল জালে জড়িয়ে দেন সাবেক আর্সেনাল ও রোমা উইঙ্গার গেরভিনহো।

    সুযোগ অবশ্য জুভেন্টাসও পেয়েছিল। বিশেষ করে রোনালদো। কর্নার থেকে তাঁর হেড একটুর জন্য চলে গেছে পোস্ট ঘেঁষে। সেই বলে পা ছোঁয়ালেই গোল পেয়ে যেতেন বনুচ্চিও। একবার প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়েই গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলটা ধরার আগেই পারমা গোলরক্ষক নিজের দখলে নিয়েন নেন তা।

    ৫৫ মিনিটে বার্নাদেস্কি জায়গায় নামেন কস্তা। তিন মিনিট পরেই জুভেন্টাস পেয়ে যায় গোল। কস্তার বলটা মাতুইদির কাছ থেকে দারুণ এক ফ্লিকে আবার তাঁকেই দেন মানজুকিচ। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক শটে বলটা জালে জড়িয়ে দেন মাতুইদি। ওই গোলের পর জুভেন্টাস সুযোগ পেয়েছিল আরও, রোনালদোও পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যবধান আর বাড়ানো হয়নি।