জয় পেল নতুন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের ভরসা পুরনোরা
লিওনেল মেসি, গঞ্জালো হিগ্যাইন, সার্জিও আগুয়েরোদের কেউ নেই। বলতে গেলে আনকোরা একটা দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। দুর্বল গুয়াতেমালার সঙ্গে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে অভিষেকেই গোল পেয়েছেন ডিয়েগো সিমিওনে পুত্র জিওভান্নি সিমিওনে। অন্য দুইটি গোল গঞ্জালো মার্টিনেজ ও জিওভান্নি লে সলসো। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্রাজিল নেমেছিল নেইমার-কৌতিনহোদের নিয়েই। নেইমার আর ফিরমিনো গোল পেয়েছেন, শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার এ দলটি খেলেছিল, সেই দলের নিকোলাস তালিয়াফিকো ও ক্রিস্টিয়ান পাভনই আজ শুধু ছিলেন আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে। ২৭ মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ২৭ মিনিটে গঞ্জালো মার্টিনেজ গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় আর্জেন্টিনা। কর্নারের পর বল পেয়েছিলেন বক্সের বাইরে। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়িয়ে দেন বিশ্বকাপে উপেক্ষিত এই মিডফিল্ডার।
ডিয়েগো সিমিওনের ছেলে জিওভান্নিও ৪৪ মিনিটে পেয়েছেন অভিষেকেই গোল। বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে চেষ্টা করেও গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। তবে নতুনদের এই পারফরম্যান্স আর্জেন্টিনাকে অনুপ্রাণিত করতেই পারে।
বিশ্বকাপের পর ব্রাজিল দলে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন তিতে। আক্রমণে সুযোগ পেয়েছেন ফিরমিনো, মধ্যমাঠে এসেছেন ফ্রেড। রক্ষণে জায়গা পেয়েছেন মার্কিনিয়োস। প্রথম গোলের জন্য ১১ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্রাজিলকে। ডগলাস কস্তার ক্রস থেকে গোল করে বল জালে জড়িয়ে দেন ফিরমিনো। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে নিজের দলের গোল পেয়ে যান নেইমার। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলের হয়ে নিজের ৫৮তম গোলটি পেয়ে যান। এই মেটলাইফ স্টেডিয়ামেই ব্রাজিলের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি পেয়েছিলেন নেইমার।
যুক্তরাষ্ট্র এই ম্যাচে একেবারেই অনভিজ্ঞ দল নামিয়েছিল, সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়ের বয়স ছিল ২৫ বছর। ব্রাজিল তাই আধিপত্য বিস্তার করেই খেলছিল, কিন্তু গোলের সুযোগ বেশি পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ নিয়ে টানা ১১ ম্যাচে জয় পেল ব্রাজিল, সব মিলে ১৯টি দেখায় জিতেছে ১৮টি ম্যাচেই।