• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    ব্রাজিলের জয়ের রাতে আর্জেন্টিনার হতাশা

    ব্রাজিলের জয়ের রাতে আর্জেন্টিনার হতাশা    

     

    প্রতিপক্ষ ‘পুঁচকে’ এল সালভাদোর। নেইমার-কুতিনিয়োদের বড় জয় তাই প্রত্যাশিতই ছিল, হলোও সেটাই। ম্যারিল্যান্ডের প্রীতি ম্যাচে নেইমারের তিন অ্যাসিস্ট ও এক গোলে এল সালভাদোরকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ব্রাজিল। তবে ব্রাজিল জিতলেও কলম্বিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।

    তিতের ব্রাজিলে আজ ছিল বেশ কিছু নতুন মুখ। গোলরক্ষক ছিলেন নেতো, ছিলেন এদের মিলিতাও ও রিচার্লিসন। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৩ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। এই নিয়ে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে নেইমারের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৫৯। ১৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেলেসাওরা। নেইমারের বাড়ান বলে গোল করেন রিচার্লিসন। ১৪ মিনিট পর আসে তৃতীয় গোল, এবার গোলদাতা কুটিনিয়ো, অ্যাসিস্ট সেই নেইমারেরই।

    দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটে ব্রাজিলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রিচার্লিসন। বক্সের বা প্রান্ত থেকে তার বা পায়ের শট ঠেকানোর উপায় খুঁজে পাননি গোলরক্ষক। এরপর আরও কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল, ফরোয়ার্ডদের ভুলে সেটা হয়নি। ম্যাচের একদম শেষ মিনিটে গিয়ে দলের পঞ্চম গোল করেন মারকুইনহোস। নেইমারের দারুণ এক ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান। ৫-০ গোলের বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নেইমাররা।

     

    নেইমারদের জয়ের দিনে হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত লিওনেল মেসিহীন আর্জেন্টিনা, তবে পালাসিওসের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিয়া। প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।

    দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ এসেছিল দুই দলের ফরোয়ার্ডদের সামনেই।  ৫১ মিনিটে আর্জেন্টিনার জিওভানি লে সেলসোর শট অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁসে চলে যায়। ৪ মিনিট পর মাসিমিলানো মেজার হেডও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৪ মিনিটে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন নিকোলাস বেনেডেটি। শেষ পর্যন্ত কেউই গোল করতে পারেননি, গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয় ম্যাচ।