ঘরের মাঠে লিঁওর কাছে হেরে গেল সিটি
গত কয়েক মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তাদের আধিপত্যটা চোখে পড়ার মতো। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে যেন কিছুতেই নিজেদের পায়ের তলার মাটিটা শক্ত করতে পারছিল না ম্যানচেস্টার সিটি। এবারের মৌসুমে ভালো কিছু করে দেখাবেন, এমনটাই বলেছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলা। তবে মৌসুমের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি সিটিজেনদের। ঘরের মাঠে লিঁওর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে সিটি।
গত মৌসুমে পাওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে কাল ডাগআউটে ছিলেন না গার্দিওলা, দর্শকসারিতে বসেই দেখেছেন ম্যাচ। ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য নিয়ন্ত্রণটা ছিল সিটির হাতেই। রহিম স্টারলিং, ফার্নানদিনহোরা গোলের সুযোগ পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। লিঁওর নাবিল ফেকির অবশ্য সিটির আক্রমণের মাঝে একবার কাপিয়ে দিয়েছিলেন রক্ষণভাগ। ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া তার দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক।
২৬ মিনিটে ইতিহাদকে হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে যায় লিঁও। ফেকিরের ক্রসে বক্সের ভেতর বল পান ম্যাক্সওয়েল করনেট। তার বা পায়ের শট বাঁচাতে পারেননি এডারসন। গোল শোধ করতে মরিয়া সিটি আক্রমণের ধারও বাড়িয়ে দেয়। ৩০ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসুসের শট ঠেকিয়ে দেন লিঁও কিপার। ৪ মিনিট পর ফ্যাবিয়ান ডেলফকেও হতাশ করেছেন লোপেস। গোল তো শোধ হয়ইনি, উল্টো প্রথমার্ধের শেষে আরেকটি গোল খেয়ে বসে সিটি। মেমফিস ডিপের পাসে বক্সের বাইরে থেকে ফেকিরের শট বল জালে জরালে হতাশা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় সিটিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে বহু আক্রমণ করেছে সিটি ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু প্রথমার্ধের মতো এবারও ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন লিঁও গোলরক্ষক। হেসুস, ফার্নানদিনহো, কাইল ওয়াকার, সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কেউই। এত হতাশার মাঝে সিটিকে আশার আলো দেখান বেরনার্দো সিলভা। ৬৭ মিনিটে সানের পাসে গোল করে ব্যবধান কমান।
সমতায় ফেরার বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল সিটিজেনদের সামনে। আগুয়েরো, সানে দুজনই কয়েকবার ভেদ করেছিলেন লিঁও রক্ষণভাগ। তবে বল জালে জড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়ে সিটি। এই হারে প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ হারের স্বাদ পেল সিটি। এছাড়াও প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচ হারল তারা।