• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    সিটির হারে ফাঁকা গ্যালারির দোষ দেখেন না আরটেটা

    সিটির হারে ফাঁকা গ্যালারির দোষ দেখেন না আরটেটা    

    পেপ গার্দিওলা ডাগ আউটে নিষিদ্ধ ছিলেন। নতুন মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে তাই ম্যানচেস্টার সিটির ডাগ আউটে প্রধান কোচ ছিলেন মিকেল আরটেটা। কিন্তু ঘরের মাঠে অলিম্পক লিঁঁওর কাছে অপ্রত্যাশিত হারে শুরু হয়েছে সিটির ইউরোপিয়ান মৌসুম। হারের সঙ্গে আরও একটা ব্যাপারও নজর কেড়েছে সেই ম্যাচে। সেটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় বরাবরই স্টেডিয়াম বিমুখ ম্যানচেস্টারের নীল অংশের সমর্থকেরা। গত মৌসুমেও গল্পটা ছিল একইরকম, এবারও বদলায়নি। প্রথম ম্যাচেই গ্যালারির বিরাট একটা অংশ ফাঁকাই পড়েছিল ইতিহাদে। 

    ফুটবলে ঘরের মাঠের সমর্থন বড় ভূমিকা পালন করে। হারের পর আরটেটাকে তাই অনুমিত প্রশ্নটার মুখোমুখি হতেই হয়েছে। গ্যালারির সমর্থনের অভাব প্রভাব ফেলেছে কি না দলের খেলায়? সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাননি। 



    "আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগে আগেও এরকম দর্শক দেখেছি। কিন্তু তাতে আমাদের জিততে অসুবিধা হয়নি। আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন আদর্শ পরিস্থিতিতি কোনটা তাহলে আমি বলব প্রতি ম্যাচেই ভরা গ্যালারি আর সমর্থকদের একনিষ্ঠ সমর্থন। কিন্তু আমরা জানি এই প্রতিযগিতায় সব সপ্তাহে একই ঘটনা ঘটে না। তবে এটাকে হারের অজুহাত হিসাবে দাঁড় করানোর দরকার নেই।"

    ইতিহাদ স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৫৩ হাজার। লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচে হাজির হয়েছিলেন ৪০ হাজারেরও কিছু কম সমর্থক। যেটা প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদের গড় উপস্থিতির চেয়েও দশ হাজার কম।

    তাহলে ডাগ আউটে গার্দিওলা থাকলে কি ফলাফলটা অন্যরকম হত? হারের কারণটা কি আসলে? সেই প্রশ্নের জবাবে আরটেটা বলেছেন, "বাস্তবতা হচ্ছে গার্দিওলা ছিল না, আর আমরা ম্যাচটা হেরেছি। সে থাকলে হয়ত আমরা ৫-০ গোলে জিততে পারতাম, আবার ৩-০ ব্যবধানে হারতেও পারতাম। আমরা শুরুই করেছিলেন ধীর গতিতে। আর বেশ কয়েকটি ডুয়েলে আমরা হেরেছি। এই পর্যায়ে এসে এটাকে ভালো বলা যায় না।"