রোনালদোর গোলে জুভেন্টাসের পাঁচে পাঁচ
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। সেই হতাশা ভুলে মাঠে ফিরেই গোল পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার গোলেই ফ্রোসিননকে ২-০ গোলে হারিয়ে সিরি আতে টানা পঞ্চম জয় পেল জুভেন্টাস।
ফ্রোসিননকে হারাতে অবশ্য ভালোই বেগ পেতে হয়েছে জুভেন্টাসকে। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসা তুরিনের ওল্ড লেডিদের হতাশ করেছে ফ্রোসিনন রক্ষণভাগ। ১৩ মিনিটে গোলের সুযোগ আসে রোনালদোর সামনে, মিরালেম পিয়ানিচের পাসে পাওয়া বলে তার বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন ফ্রোসিনন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে গোলের আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন সিআর সেভেন, তবে প্রতিবারই হতাশ করেছেন। সুযোগ এসেছিলন পাউলো দিবালা, ড্যানিয়েল রুগানির সামনেও। ৩১ মিনিটে রুগানির শট অল্পের জন্য পোষ্টের ওপর দিয়ে না গেলে এগিয়ে যেতে পারত জুভেন্টাস। দিবালার দুটি শট বাঁচিয়ে দেন স্পোর্টিয়েলো। প্রথমার্ধটা তাই হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জুভদের।
দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল জুভেন্টাসের ফরোয়ার্ড আর ফ্রোসিননের জমাট রক্ষণের লড়াই। বারবার আক্রমণে গিয়েও বল জালে জড়াতে পারছিলেন না রোনালদো-দিবালারা। ৫৯ মিনিটে রোনালদোর শট পোষ্টের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬৩ মিনিটে আবারও ফ্রোসিনন গোলকিপার স্পোর্টিয়েলো হতাশ করেন রোনালদোকে। প্রথমার্ধের মতো এবারও দিবালার কয়েকটি শট বাঁচিয়ে দিয়েছেন স্পোর্টিয়েলো।
ম্যাচের বাকি আর ৯ মিনিট। মৌসুমের প্রথম পয়েন্ট হারানো দ্বারপ্রান্তে জুভেন্টাস। ঠিক সেই সময়ই রোনালদো খুঁজে পেলেন জাল। পিয়ানিচের শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন স্পোর্টিয়েলো। ঠেকিয়ে দেওয়া বল গিয়ে পড়ে রোনালদোর সামনে, ছয় গজ দূর থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এই নিয়ে জুভেন্টাসের হয়ে তৃতীয় গোল পেলেন সি আর সেভেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ফেড্রিকো বেনারডেসি। পাল্টা আক্রমণে পিয়ানিচের পাসে বল জালে জড়ান তিনি।
৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে জুভেন্টাস।