'মরিনহো শিগগিরই চাকরি হারাতে যাচ্ছে'
আরও একটি ম্যাচে হার, আরও একবার ব্যর্থতার ঘূর্ণাবর্তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার ইউনাইটেড হেরে গেল ওয়েস্ট হামের কাছে ৩-১ গোলে, প্রথম সাত ম্যাচে ১৯৯০ সালের পর এটাই ইউনাইটেডের সবচেয়ে বাজে শুরু। আর এমন পারফরম্যান্সের পর ফুটবল বিশেষজ্ঞ ও সাবেক স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়ারার সরাসরিই বলেছেন, মরিনহোর চলে যাওয়া উচিত। এদিকে বিএন স্পোর্টস বলছে, মরিনহোকে বিদায় করে জিনেদিন জিদানকে আনার কথা এখন ভালোভাবেই ভাবতে শুরু করেছে ইউনাইটেড।
ওয়েস্ট হামের সঙ্গে আজ ইউনাইটেড ছিল একেবারেই ছন্নছাড়া। ফেলিপে অ্যান্ডারসনের ৫ মিনিটের গোলে প্রথম পিছিয়ে পড়ে, ৪৩ মিনিটে ভিক্টর লিন্ডেলফের গোলে ব্যবধান হয় ২-০। ৭১ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড ব্যবধান কমালেও ৭৩ মিনিটে মার্ক আরনুতোভিচ আবার গোল করে এগিয়ে দেন ওয়েস্ট হামকে। তার চেয়েও বড় কথা, পুরো ম্যাচে ইউনাইটেড ছিল নিষ্প্রাণ, খেই হারানো। যার সঙ্গে বিবাদ দিয়ে এত কথা, সেই পল পগবা খেলা শেষের ২০ মিনিট আগেই তুলে নিয়েছেন মরিনহো।
এই হারের পর সাত ম্যাচে ইউনাইটেডের পয়েন্ট এখন ১০। শীর্ষ চারের আশা এর মধ্যেই ফিকে হতে শুরু করেছে। শিয়ারার তাই শেষ দেখে ফেলছেন মরিনহোর, ‘আমার ধারণা মরিনহো ওর চাকুরি হারাবে। ও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। শুরু থেকেই ওদের হতাশ মনে হচ্ছে, মাঠে সেভাবে কাউকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।’
বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শিয়ারার, ‘আমি মনে করি ফুটবলার হিসেবে আপনার ডিএনএ হচ্ছে পরিশ্রম ও চেষ্টা। কিন্তু ইউনাইটেডের খেলায় সেটা দেখা যাচ্ছে না। দুই তিনটি পাস পর পর দিতে গিয়ে তারা ভুল করছে, এটা খুবই হতাশাজনক। আমার মনে হচ্ছে না খেলোয়াড়েরা ওদের কোচের জন্য চেষ্টা করছে।’
ইউনাইটেড বোর্ড এখন পর্যন্ত মরিনহোর পক্ষে আছে বলেই প্রকাশ্যে জানিয়েছে। তবে বিইনের দাবি, জিদানের সঙ্গে কথা শুরু করেছে ইউনাইটেড বোর্ড। এদিকে এমন অবস্থা, পগবা বা মরিনহোর যে কোনো একজনের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছে। কিন্তু কে বিদায় নেবেন; পগবা, মরিনহো না দুজনই?