• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    স্টারিজের দুর্দান্ত গোলে ঢাকা পড়লেন হ্যাজার্ড

    স্টারিজের দুর্দান্ত গোলে ঢাকা পড়লেন হ্যাজার্ড    

    ঘরের মাঠেই জয়ের দিকেই এগুচ্ছিল চেলসি। তাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে শীর্ষস্থানে ধরেও ফেলত তারা। আর লিভারপুল পেত লিগে মৌসুমের প্রথম হারের স্বাদ। সেই ম্যাচটাই লিভারপুল বেঁচে গেল ড্যানিয়েল স্টারিজের এক মুহুর্তের জাদুতে। ৮৯ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে বাম পায়ের বাঁকানো শট স্ট্যামফোর্ড ব্রিজকে স্তব্ধ করে স্টারিজ ড্রয়ের সমান জয় এনে দিয়েছেন লিভারপুলকে। তাতে এডেন হ্যাজার্ডের কৃতিত্ব গেছে ঢাকা পড়ে। তার গোলেই এগিয়ে ছিল চেলসি।

    ২৬ মিনিটে মাতে কোভাসিচের থ্রু পাস থেকে কোণাকুণি গ্রাউন্ডেড শটে গোল করেন এডেন হ্যাজার্ড। ওই গোলেই এগিয়ে ছিল চেলসি। অবশ্য শুরুটা বেশি আক্রমণাত্মক ছিল লিভারপুলেরই। যদিও সালাহ, ফিরমিনো, মানেদের কেউই অ্যাটাকিং থার্ডে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেননি। নিশ্চিত গোলের সুযোগ ম্যাচে প্রথম পেয়েছিল চেলসিই। ২১ মিনিটে উইলিয়ানকে ওয়ান অন ওয়ানে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। এর কিছুক্ষণ পরই হ্যাজার্ডের ওই গোল। অবশ্য প্রথমার্ধেই গোল শোধ দেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল মোহামেদ সালাহ। গোলরক্ষককে কাটিয়ে চলেও গিয়েছিলেন সুবিধামতো জায়গায়, তবে খানিকটা বেশি দূরে বল নিয়ে গিয়েছিলেন বারপোস্ট থেকে। পরে ডান পায়ের শটের প্লেসমেন্টটাও ভালো ছিল না, শটও ছিল দুর্বল। অ্যান্টোনিও রুডিগার পেছন থেকে দৌড়ে এসে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন ৩১ মিনিটে।



    লিভারপুলের সুযোগ কাজে না লাগানোর মাসুল দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিগুণ হয়নি জেমস মিলনারের জন্য। বাম দিক থেকে হ্যাজার্ডের করা ক্রসটা উইলিয়ানের কাছেই যেত, ফাঁকায় দাঁড়ান উইলিয়ান লক্ষ্যে মারলেই গোলও হত ৫১ মিনিটে। মিলনারের সময়মতো ক্লিয়ার সেই দফায় রক্ষা করেছে লিভারপুলকে। আবার অন্যপ্রান্তে কেপা আরিজাবাগালাও চেলসিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন ম্যাচে। ৫৮ মিনিটে মানের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী এ গোলরক্ষক। অবশ্য ম্যাচের বিচারে কেপার অপরপ্রান্তের গোলরক্ষকই ছিলেন বেশি সপ্রতিভ। ৬৪ মিনিটে আরও একবার হ্যাজার্ড ঢুকে গিয়েছিলেন লিভারপুলের ডিবক্সের ভেতর। গোল আর হ্যাজার্ডের মধ্যে পার্থক্য তখন কেবল অ্যালিসন। দুর্দান্ত এক সেভে হ্যাজার্ডকে গোলবঞ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান, সেই পুঁজিতেই পরে ম্যাচে লিভারপুলও।

    ম্যাচের মিনিট ২৫ বাকি থাকার আগেই দুই কোচই পরিবর্তন আনেন, আলভারো মোরাতা আর জের্দান শাকিরি মাঠে নামেন প্রায় একই সময়ই। এই দুইজনই সুবর্ন দুইটি সুযোগ পেয়েছিলেন। শাকিরি দুর্বল ডান পায়ে গোলেই মারতে পারেননি, বাম দিক থেকে আসা ক্রসে। আর মোরাতাও ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থেকেই বল পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনিও হেড করে লক্ষ্যেই মারতে পারেননি। পরে অবশ্য মোরাতার আফসোসই বেড়েছে ম্যাচ শেষে। স্টারিজই আলো কেড়ে নিয়েছেন পুরো ম্যাচের, ছুঁয়েছেন প্রিমিয়ার লিগে ৫০ গোলের মাইলফলকও। সঙ্গে লিভারপুলও হার এড়িয়ে সিটির সমান ১৯ পয়েন্ট নিয়েই অপরাজিত থাকল এখনও পর্যন্ত। গোলব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে আছে তারা।