• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    দিবালার হ্যাটট্রিকে তুরিনে জিতল বুড়িরা

    দিবালার হ্যাটট্রিকে তুরিনে জিতল বুড়িরা    

    ওল্ড লেডি অফ তুরিন, জুভেন্টাসের আরেক নাম। চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের প্রতিপক্ষের নাম ইয়াং বয়েজ। তুরিনের ম্যাচে দুই প্রতিপক্ষের নাম হাস্যরস জুগিয়েছে। ম্যাচ নিয়ে যে আলাদা কোনো উত্তাপ ছিল না সেটাও এতোক্ষণে বুঝে যাওয়ার কথা আপনার। ম্যাচের ফলটাও হয়েছে অনুমিত, তরুণদের বুড়িরা হারিয়েছে ৩-০ গোলে। তবে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন পাউলো দিবালা। 

    এমন একটা ম্যাচের অপেক্ষাতেই ছিলেন বলে ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এই মৌসুমে এর আগে মাত্র এক গোল ছিল দিবালার। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছিলেন না মাঠে, খেলা দেখেছেন স্ট্যান্ডে বসে। মাঠে দিবালার জ্বলে ওঠা দরকারি ছিল জুভেন্টাসের জন্য, দিবালার পুরনো ফর্ম ফেরার জন্যও মোক্ষম সুযোগ ছিল। মারিও মাঞ্জুকিচ, ফার্নান্দো বার্নাদেস্কির সঙ্গে জুটি বেঁধে জুভেন্টাসের আক্রমণের মেইন ম্যান ছিলেন দিবালাই। সুযোগের পুরোটাই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। 



    ম্যাচের শুরু থেকে দুর্দান্ত ছিলেন দিবালা। প্রথম গোলটা করেছেন ৫ মিনিটেই। লিওনার্দো বনুচ্চির লং বল ডিবক্সের ভেতর নাগালে এনেছিলেন, জোরে ভলি করার চেয়ে বরং অ্যাঙ্গেলটাই ঠিক রাখার চেষ্টা করলেন দিবালা। সফলও হলেন তাতেই, বাম পায়ের নিচু ভলিতেই করলেন প্রথম গোল। পুরো খেলাই ছিল জুভেন্টাসের নিয়ন্ত্রণে। প্রথমার্ধ আর দ্বিতীয়ার্ধে একবার করে দু'টি ভালো সুযোগ পেয়েছিল কেবল ইয়াং বয়েজ। প্রথমটা দিবালার প্রথম গোলের কিছুক্ষণ পরই। এগিয়ে আসা গোলরক্ষক ওজায়িক সেজনিকে হার মানালেও, জুভেন্টাস ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে আর গোল করা হয়নি সো এর। ইয়াং বয়েজ সুযোগ নষ্ট করলেও জুভেন্টাস ছাড় দেয়নি একটুও। দিবালার তিন গোলের দুইটিই প্রথমার্ধে। ৩৫ মিনিটে ব্লেইস মাতুইদির শট ঠিকমতো আগলে রাখতে পারেননি ইয়াং বয়েজ গোলরক্ষক, রিবাউন্ডে বল পেয়ে সহজ কাজটা সেরে জুভেন্টাসের লিড আর নিজের গোল দুই দ্বিগুণ করেন দিবালা। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হ্যাটট্রিককে পেয়ে যেতেন দিবালা। ৪৭ মিনিটে দুইবার বারপোস্টের দুই মাথাতেই বল লেগে ফেরত আসে দিবালার শট, পরে আবারও মেরেছিলেন, কিন্তু গোলরক্ষককে টলাতে পারেননি। মিনিট খানেক পরই, দিবালাকে ফাউল করেও পেনাল্টির হাত থেকে রেহাই পেয়ে যায় ইয়াং বয়েজ। কিন্তু হ্যাটট্রিক থেকে আর শেষ পর্যন্ত দিবালাকে দূরে রাখতে পারেনি তারা। হুয়ান কুয়াদ্রাদোর ক্রস থেকে ৬৫ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দিবালা। তাতে একটা এলিট ক্লাবেও ঢুকে গেছেন তিনি। জুভেন্টাসের হয়ে এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিক ছিল পিপো ইনজাঘি, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো আর আর্তুরো ভিদালের। চতুর্থ নামটিই এখন দিবালার।

    মৌসুমের ৯ ম্যাচের সবটিতেই জিতে জুভেন্টাস একটা রেকর্ডও করে ফেলেছে এই ম্যাচ দিয়ে। ১৯২৯-৩০ মৌসুমের পর এবারই মৌসুমের প্রথম ৯ ম্যাচ জিতল জুভেন্টাস।