আবারো হতাশ করল মরিনহোর ইউনাইটেড
লিগে একের পর এক হারে দিশেহারা তার দল। হোসে মরিনহোর চাকরি নিয়েই যেন এখন টানাটানি। চ্যাম্পিয়নস লিগে সেই হতাশা কাটানোর কিছুটা সুযোগ ছিল। সেই সুযোগটাও হাতছাড়া করল ইউনাইটেড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে লুকাকু- পগবাদের।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনই দুই দলেরর কেউই। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় ইউনাইটেড ও ভ্যালেন্সিয়া। ৪৯ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার গঞ্জালো গুডেসের শট অল্পের জন্য পোষ্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫৩ মিনিটে পগবার শট ঠেকিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই মার্কাস র্যাসফোর্ডের শট একটুর জন্য জালে জড়ায়নি।
৬২ মিনিটে র্যাশফোর্ডের আরেকটি শট বাঁচিয়ে দেন কিপার। ৭১ মিনিটে লুকাকু, ৭২ মিনিটে অ্যালেক্সিস সানচেজের শটও ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন র্যাশফোর্ডই, ৮৬ মিনিটে তার দারুণ এক শট পস্তে লেগে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় মরিনহোর দলকে। এই ড্রয়ে ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচে জিততে পারল না ইউনাইটেড। মরিনহোর কোচিং ক্যারিয়ারে এমনটা আগে কখনোই হয়নি!
এদিকে ড্র করতে করতেও জিতেছে বেনফিকা। প্রথম ১৫ মিনিটেই ২-০ তে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। এইকে অ্যাথেন্সের বিপক্ষে বড় জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বেনফিকা। তবে ম্যাচটা এত সহজে জিততে পারেনি তারা, দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আলফা সেমেডোর গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বেনফিকা।
ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যেতে পারত বেনফিকা। জার্মান কনটির দারুণ এক হেড ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই অবশ্য লিড নেয় তারা। গেডসন ফার্নানডেজের শট কিপার ঠেকিয়ে দেওয়ার পর সেই বল যায় হ্যারিস সেফেরোভিচের পায়ে, সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি। ১৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো। পিজ্জির ক্রস থেকে তার হেড কিপা ঠেকাতে পারেননি লাফিয়ে উঠেও। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা অ্যাথেন্স দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাড়ায়। ৫৩ মিনিটে ব্যবধান কমান ভিক্টর ক্লোনারিদিস। ১০ মিনিট পর বেনফিকাকে হতাশ করে সমতায় ফেরে অ্যাথেন্স। দ্বিতীয় গোলটিও আসে ক্লোনারিদিসের পা থেকেই।
ম্যাচের তখন ১৬ মিনিট বাকি। বক্সের একটু বাইরে বল পেলেন সেমেডো। তার ডান পায়ের শট কিপারকে বোকা বানিয়ে ঢুকে গেল জালে। তার এই গোলেই শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বেনফিকা।
বেনফিকা জিতলেও ইউনাইটেডের মতো পয়েন্ট হারিয়েছে লিঁও ও বায়ার্ন মিউনিখ। শাখতার দোনেস্কের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল লিঁঁও। ৪৪ ও ৫৫ মিনিটে জোড়া গোল করে শাকতারকে এগিয়ে দেন রিবেরো মোরায়েস জুনিয়র। ৭০ মিনিটে ব্যবধান কমান মুসা ডেম্বেলে। দুই মিনিট পর সমতা আনেন লিও ডুবস। ৯০ মিনিটে জয়সূচক গোল পেতে পারত শাখতার, কায়োন্দের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
এদিকে এগিয়ে গিয়েও আয়াক্সের সাথে জিততে পারেনি বায়ার্ন। ৪ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন ম্যাট হামেলস। আরিয়েন রোবেনের ক্রসে হেডে বল জালে জড়ান। ২২ মিনিটেই সমতা আনে আয়াক্স। নুসান টাডিচের থ্রু বলে গোল করেন নুসাইর মাজরাওয়ে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেও জয়সূচক গোল এনে দিতে পারেননি মুলার-রোবেনরা।