• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    নেইমারের হ্যাটট্রিকে পিএসজির বড় জয়

    নেইমারের হ্যাটট্রিকে পিএসজির বড় জয়    

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম হ্যাটট্রিকটা পেয়েছিলেন পাঁচ বছর আগে। ২০১৩ সালে বার্সেলোনার হয়ে খেলার সময় সেল্টিকের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন নেইমার। কাল আবারও স্বাদ পেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ হ্যাটট্রিকের। রেড স্টার বেলগ্রাডের বিপক্ষে তার দারুণ এক হ্যাটট্রিকেই ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে পিএসজি।

    ঘরের মাঠে ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। নেইমারের পাসে কিলিয়ান এমবাপ্পের শট বাঁচিয়ে দেন বেলগ্রেড গোলরক্ষক। ২০ মিনিটে বক্সের একটু বাইরে নেইমারকে ফাউল করা হয়। সেই ফ্রি কিক থেকেই দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। দুই মিনিট পরেই বাড়ে ব্যবধান। বক্সের বাইরে নেইমারের বাড়ানো বল পান এমবাপ্পে। কিছুদূর এগিয়ে এসে বক্সের ভেতর পাস দেন। সেই পাসেই বল জালে জড়ান নেইমার।  

    ৩৭ মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি আসে এডিসন কাভানির পা থেকে। চার মিনিট পর পিএসজিকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন ডি মারিয়া। থমাস মুনিয়েরের থ্রু বলে তার বা পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি কিপার।

    দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন পিএসজি। প্রথম ১০ মিনিটের মাঝেই হতে পারত আরও কয়েকটি গোল। নেইমার-এমবাপ্পেদের হতাশা করেছেন বেলগ্রেড গোলরক্ষক বোরযান। ৭০ মিনিটে অবশ্য আর পিএসজিকে আটকাতে পারেননি তিনি, কাভানির পাসে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করেন এমবাপ্পে। চার মিনিট পর এক গোল শোধ করে বেলগ্রেড। লরেঞ্জো এবেসিলিওর বাড়ানো বলে মার্কো মারিনের ডান পায়ের শট জালে জড়ালে কিছুটা আনন্দের সুযোগ পায় বেলগ্রেড।

    ম্যাচের তখন ৮১ মিনিট। বকের বাইরে আবারও ফ্রি কিক পান নেইমার। ডান পায়ের বাঁকানো সেই শট আবার বোকা বানায় গোলরক্ষককে, নেইয়ার পূর্ণ করেন তার হ্যাটট্রিক। চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে দুটি ফ্র কিক থেকে সর্বশেষ গোল করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ২০০৯ সালে জুরিখের বিপক্ষে ফ্রি কিকে দুই গোল পান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নেইমাররা।

    অন্য ম্যাচে ক্লাব ব্রুজকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অ্যাটলেটিকোর হয়ে জোড়া গোল করেছেন আতোইন গ্রিজমান, আরেকটি গোল করেন কোকে। ব্রুজের হয়ে একমাত্র গোল করেন গ্রোয়েনভেল্ড।

    আরেক ম্যাচে মোনাকোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ডর্টমুন্ডের হয়ে গোল পেয়েছেন ব্রুন লারসেন, পাকো আলকাসের ও মার্কো রয়েস।