বায়ার্নের বেহাল দশা
গত ছয়বারই লিগ শিরোপা গেছে তাদের ঘরে। জার্মান বুন্দেসলিগায় ছিল বায়ার্ন মিউনিখের একছত্র আধিপত্য। সবাই যেন ধরেই নিয়েছিল, যত যাই হোক, শিরোপা তো বায়ার্নের হাতেই উঠবে! কিন্তু এই মৌসুমে বদলে গেল পুরো দৃশ্যপট। লিগের ৭ ম্যাচ পেরিয়ে যাওয়ার পর শীর্ষ চারেও নেই বায়ার্ন! গতকাল বরুশিয়া মগ্লাডবাখের কাছে ৩-০ গোলে হেরে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে বায়ার্ন আছে পঞ্চম স্থানে।
এই মৌসুমের শুরুতেই বায়ার্নের দায়িত্ব নেন নিকো কোভাচ। নতুন কোচের অধীনে মৌসুমের শুরুটা কিন্তু খারাপ হয়নি বায়ার্নের। গত ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা লিগের প্রথম চার ম্যাচেই জয় পেয়েছিল। মনে হচ্ছিল, গত ছয় মৌসুমের মতোই দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে তারা। কিন্তু এরপরেই খেই হারিয়ে ফেলে তারা, শুরু হয় জয়খরা।
গত ম্যাচের মতো কালও হেরেছে বায়ার্ন, তবে ঘরের মাঠে ব্যবধানটা ছিল অনেক বড়। ১০ মিনিটেই প্লিয়ার গোলে পিছিয়ে পরে তারা, ১৬ মিনিটে মগ্লাডবাখের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন লার্স স্টিন্ডল। ৮৮ মিনিটে বায়ার্নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন প্যাট্রিক হারমান। কাল এমন হারের পর এই নিয়ে চতুর্থ ম্যাচে জয়হীন থাকতে হলো বায়ার্নকে। লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল তারা, শেষ তিন লিগ ম্যাচে মাত্র একটি পয়েন্ট পেয়েছে বায়ার্ন।
কাল ঘরের মাঠে মগ্লাডবাখের কাছে ৩ গোল খেয়েছে বায়ার্ন। ২০০৮-০৯ মৌসুমের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে টানা ৭ ম্যাচে গোল হজম করল তারা। ১৯৯৯ সালে লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে টানা চার ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি বায়ার্ন। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৯ বছর। এতগুলো বছরে এই প্রথম আবারও টানা ৪ ম্যাচে জয় না পেয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রোবেন-মুলারদের।