• " />

     

    "রাব্বি আমাদের জন্য প্যাকেজ"

    "রাব্বি আমাদের জন্য প্যাকেজ"    

    জাতীয় দলে ফজলে রাব্বি যখন ডাক পেলেন, বয়স পেরিয়ে গেছে ত্রিশ। এমন বয়সে দুশ্চিন্তার বড় এক নাম- ফিটনেস। এই সময়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল বেড়েছে, তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেস ঘাটতির ব্যাপারটাও ভাবায় নির্বাচকদের। একবার দল থেকে বাদ পড়ার পর ফিরে আসার চেষ্টাতেও ঘাটতি দেখেন তারা। রাব্বির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে সেটারই। তার ফিটনেস ও পরিণতবোধে মুগ্ধ নির্বাচকদের প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে তাই। রাব্বিকে বলা হচ্ছে, “প্যাকেজ”। 

    গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৭০০-এর বেশি রান করেছেন এই বাঁহাতি। নির্বাচক হাবিবুল বাশার গত তিন বছর ধরেই রাব্বির মাঝে পরিবর্তন দেখছেন, “ওর ক্যারিয়ারটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। পাঁচ-ছয় বছর আগে যখন এইচপি স্কোয়াডে ছিল, তখন উদীয়মান এক তারকা। তারপর অফ-ফর্মে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানে ছিল, কিন্তু শেষ তিন বছর ধরে সে অনেক বদলে গেছে। ওর খেলায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সে এখন অনেক পরিণত।

    “‘এ’ দলের সফরগুলোতে দেখেছি, খুব ভাল ব্যাটিং করেছে। বয়সটা একটু বেশি হয়ে গেছে, আমরা এমন খুব কম দেখি। কিন্তু ওর ফিটনেস খুব ভাল। সে একজন ফিট ক্রিকেটার।”

    মূলত সাকিব আল হাসানের বদলি হিসেবেই নেওয়া হয়েছে তাকে। অবশ্য ‘প্রচলিত কথা’ অনুযায়ী, সাকিবের জায়গা পূরণ করতে বাংলাদেশে দুইজন ক্রিকেটারকে দলে নিতে হয়- একজন ব্যাটসম্যান, একজন বোলার। রাব্বির বাঁহাতি অর্থোডক্স সে ঘাটতিটাই পূরণ করতে পারবে বলে আশা বাশারের, “আমাদের একজন ব্যাটসম্যান দরকার ছিল, ঠিক সাকিব আল হাসানের মত না হলেও সে বোলিং করতে পারে। আমরা দেখেছি, ওর বোলিংটাও বেশ কার্যকরী। সেই বিবেচনায় এসেছে।”

    “ওর ব্যাটিংটা এখন অনেক বদলে গেছে। আগে খুব আগ্রাসী ব্যাটিং করত। কিন্তু এখন আমি দেখছি (‘এ’ দলের আয়ারল্যান্ড সফরে), সে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটিং করে থাকে। প্রান্ত বদল করে খেলে। একই সাথে যখন দরকার তখন বড় শট খেলার সামর্থ্য রাখে। সে এখন একজন পরিণত ব্যাটসম্যান- যেটা তাকে দলে নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। সে একজন ভাল ফিল্ডার, সাথে স্পিন বল করতে পারে। সব মিলিয়ে আমাদের জন্য প্যাকেজ বলা চলে।”

    ১৯৯৯ সালে শেষ ৩০ পেরুনো বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল মাহবুবুর রহমানের, অবশ্য ক্যারিয়ারে খেলেছেন ওই একটিই ম্যাচ। সময় বদলেছে বলে মনে করেন হাবিবুল, “আর আমার মনে হয় এখনকার প্রেক্ষাপটে ৩০ বছর খুব একটা বেশি না। শুরু করার জন্য হয়তো বেশি। কিন্তু এখন ওর সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। ‘হি ইজ আ ফিট গাই’। আশা করি সে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।”

    ব্যাটিং অর্ডারে মিডল ভাবা হচ্ছে রাব্বিকে, “সে শুরু করেছিল একজন ওপেনার হিসেবে। সেখান থেকে ৩ নম্বরে ব্যাট করেছে। এখন সে মিডেল অর্ডারে, পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করছে। ‘এ’ দলের হয়ে সফর গুলোতে পাঁচ ছয়ে ব্যাট করেছে সে, কিন্তু তিন নম্বরে সে ব্যাট করতে পারে। ওর জন্য তিন থেকে পাঁচ ছয়ের মধ্যে ব্যাট করা আদর্শ হবে, মূলত মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবে।”