ইকার্দির শেষ মুহুর্তের গোলে মিলানে ইন্টারের রাজত্ব
মিলান ডার্বি জেতা আর শহরের দখল নেওয়া নাকি একই কথা। ম্যাচ শেষে ইন্টার মিলান খেলোয়াড়দের মাঠের উদযাপন দেখে মনে হতে পারে সিরি আ জিতে ফেলেছে তারা। ডার্বি জেতা তো এই শহরের মানুষের কাছে শিরোপা জেতার মতোই। সেই রাজত্বটা এবার পেয়েছে ইন্টার, মিলান ডার্বিতে ইন্টার মিলানকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক মাউরো ইকার্দি। পুরো ম্যাচে মাত্র ১৫ বার বলের নাগাল পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। সেই তিনিই ৯২ মিনিটে গোল করে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন ২২২ তম মিলান ডার্বিতে।
সান সিরোতে হোম ম্যাচ ছিল ইন্টারেরই। তার পুরো সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রথমার্ধে এসি মিলানকে কোনঠাসা করে রাখে তারা। একের পর এক আক্রমণ করেও গোলশূন্য প্রথমার্ধটা তাই হতাশাজনকই ছিল ইন্টারের জন্য। হতাশার শুরু ১১ মিনিটে, ইকার্দি বল জালে জড়ীয়েও অফসাইডের কারণে গোল পাননি। মিলানের মাতেও মুসাকিও একই কাজ করেছিলেন, কিন্তু তিনিও অফসাইড সিদ্ধান্তের কারণে করতে পারেননি উদযাপনটা। বিরতির সময় পর্যন্ত এর আগে পরের পুরোটা সময় ছিল ইন্টারের দাপট। ২১ মিনিটে মাতিয়াস ভেসিনোর শট ঠেকিয়ে জিয়ানলুইজি ডোনারুমা মিলানকে আগলে রাখেন। ৩৩ মিনিটে স্টেফান ডি ভ্রাইয়ের শট বাঁচিয়ে দেয় গোলবার। এরপর ৪০ মিনিটের মধ্যে দুইবার ইকার্দি ভালো দুইটি সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথমবার ডানদিক থেকে আসা ক্রসে পা ছোঁয়াতে চেয়েছিলেন, বলের নাগাল পাননি ডিবক্সের ভেতর, পরেরবার রোমানয়োলির ব্লকের কারণে শটই করতে পারেননি।
প্রথমার্ধে ইন্টারের ডিবক্সের ভেতর মাত্র ৪ বার বল টাচ করতে পেরেছিল মিলান। তাদের দুর্দশা দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন একটা বদলায়নি। গঞ্জালো হিগুয়াইন হতাশ করেছেন, পুরো ম্যাচেই ছিলেন দিশেহারা। সুসো একবার ডিবক্সের বাইরে থেকে ভালো শট করেছিলেন। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খেলা চলতে থাকলেও মিলানের আক্রমণগুলো মোটেই ভীতি ছড়াচ্ছিল না ইন্টারের রক্ষণে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ধার কমে ইন্টারের আক্রমণভাগেও। মিলানও ইন্টারকে আটকে দিয়ে গোলশূন্য ড্রয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চেয়েছিল হয়ত! কিন্তু মিলানের সব স্বপ্ন ভেঙে দেন সেই ইকার্দিই। ৮০ মিনিটে ইকার্দির হেড একবার সেভ করেছিলেন ডোনারুমা। কিন্তু ৯২ মিনিটে আর পারলেন না। ডান দিক থেকে ভেসিনোর ক্রসে লাফিয়ে উঠে মুসাকিওকে কোনো সুযোগই দিলেন না ইকার্দি। এরপর হেডেই গোল করেন ইন্টার অধিনায়ক।