• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরছেন জুভেন্টাসের রোনালদো

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরছেন জুভেন্টাসের রোনালদো    

    থিয়েটার অফ ড্রিমসে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন, হাত দিয়ে ছুঁয়েছেন, এরপর নতুন কোথাও পাড়ি জমিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গল্পটা অল্প কথায় এর চেয়ে ভালোভাবে হয়ত বর্ণনা করা যায় না। সেই ওল্ড ট্রাফোর্ডেই ফিরছেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ফিরেছিলেন এর আগে, সেবার গোল করে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছ থেকে। নতুন ক্লাব জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমেই আবার প্রতিপক্ষ হয়ে রোনালদোর ফেরাটা আলো কাড়ছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ম্যান ইউনাইটেডের জন্য অবশ্য ব্যাপারটা মোটেই স্বস্তির নয়। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ এইচে দুইয়ে আছে তারা। তবে জুভেন্টাসের সঙ্গে দুই লেগেই হেরে বসলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সমীকরণটা কঠিনই হয়ে যাবে তাদের জন্য।  

    এই মৌসুমের বিচারে জুভেন্টাস এই ম্যাচের পরিষ্কার ফেভারিট। যদিও সপ্তাহের শুরুটা দুই ক্লাবের গেছে একই রকম। দুই দলই লিগে নিজেদের ম্যাচে ড্র করেছে, ফলটা কারও জন্যই সন্তোষজনক হয়নি। ইউনাইটেডের ঝামেলা আরেকটু বেশিই, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অ্যালেক্সিস সানচেজকে দলে পাচ্ছেন না মরিনহো। 

    ইউনাইটেড-জুভেন্টাস ম্যাচ নিয়ে ইংলিশ মিডিয়ার আগ্রহ তুঙ্গে, তার অনেকটাই রোনালদোর কারণেও। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৫ বছর কাটিয়ে, ৩ লিগ, এক চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন রোনালদো। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ৪২ গোল করে ইউনাইটেডকে জিতিয়েছিলেন ডাবল। রোনালদোর প্রথম ব্যালন ডি অর ও ইউনাইটেডে থাকতেই জেতা। এতো স্মৃতি জড়িয়ে থাকা ম্যানচেস্টারের ম্যাচটাই অবশ্য আরেকটু হলেই মিস করতে বসেছিলেন রোনালদো। ভ্যালেনসিয়ার সঙ্গে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর নিষিদ্ধ হতে পারতেন এই ম্যাচের জন্য। এক ম্যাচে মাঠের বাইরে কাটিয়েই রেহাই পেয়েছেন, রোনালদো তাই আক্ষরিক অর্থেও ফিরছেন এই ম্যাচ দিয়েই।

    ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্সে অবশ্য মরিনহোকে বেশি কথা বলতে হয়েছে অন্য বিষয় নিয়ে। রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেবেন কী না সেই প্রশ্নের জবাবে সরাসরি না করে দিয়েছেন মরিনহো। আর জেনোয়ার সঙ্গে ড্র করায় মাসসিমিলিয়ানো আলেগ্রি সেই হতাশাই উগড়ে দিয়েছেন আবার। জুভেন্টাস খেলোয়াড়দের মন পড়ে ছিল ইউনাইটেড ম্যাচের দিকেই, সে কারণে জেনোয়াকে হারাতে পারেনি তার দল- আলেগ্রির মত এমনটাই। ইউনাইটেড ম্যাচের জন্য দল আগে থেকেই প্রস্তুত থাকলে এখন অবশ্য কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারেন আলেগ্রি। দলেও ইনজুরি সমস্যা নেই। পাউলো দিবালাকে নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল, তবে সেটাও কেটে গেছে। পুরো শক্তির দলটাই তাই পাচ্ছেন আলেগ্রি।  

    ইউনাইটেডে পাশে পাচ্ছে কেবল অতীতটাই। শেষ দুই দেখায় দুইবারই জুভেন্টাসকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইউনাইটেড। সেটা অবশ্য ২০০৩ সালে, এরপর ওলট পালট হয়েছে অনেককিছু। গত পাঁচ বছরে ইউনাইটেডও হারিয়েছে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব। ইউনাইটেডকে হারাতে এর চেয়ে মোক্ষম সুযোগ কমই আসবে জুভেন্টাসের।