• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজিকে বাঁচালেন ডি মারিয়া

    শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজিকে বাঁচালেন ডি মারিয়া    

     

    যেকোনো সময় শেষ বাঁশি বাজাবেন রেফারি। ২-১ গোলে পিছিয়ে পিএসজি, এই ম্যাচ হারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার রাস্তাটা আরও কঠিনই হয়ে যাবে নেইমারকে। জুলিয়ান ড্রাক্সলারের পাসে বক্সের একটু বাইরে বল পেলেন ডি মারিয়া। বা পায়ের বাঁকানো শট দুই ডিফেন্ডারের মাথার পাসে দিয়ে গিয়ে নাপোলি গোলরক্ষককেও বোকা বানাল। শেষ মুহূর্তে ম্যাচে সমতা এনে তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছে পুরো পিএসজি, অন্যদিকে পয়েন্ট হারানোর হতাশায় পুড়ছে নাপোলি। ডি মারিয়ার দারুণ এই গোলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নাপোলির সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে পিএসজি।

    ম্যাচের শুরু থেকেই নাপোলি রক্ষণভাগের ওপর চড়াও ছিলেন নেইমার-এমবাপ্পে-কাভানিরা। ৭ ও ১৭ মিনিটে কাভানি, ১৪ মিনিটে এমবাপ্পে গোলের সুযোগ মিস করেন নাপোলি কিপারের দারুণ সেভে। স্রোতের বিপরীতে অবশ্য এগিয়ে যায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। ২৯ মিনিটে নাপোলিকে এগিয়ে দেন লরেঞ্জো ইনসিন। ৩৮ মিনিটে সমতা আনতে পারতেন এমবাপ্পে, তার শটও বাঁচিয়ে দেন ওসপিনা।

    প্রথমার্ধে অনেকটাই নিষ্প্রভ থাকা নেইমার ৫০ মিনিটে পেয়েছিলেন গোলের সুযোগ। এমবাপ্পের পাসে বল পেয়ে তার দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন কিপার। ৬১ মিনিটে মারিও রুইয়ের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফেরে পিএসজি। লিড নিতে অবশ্য বেশি সময় নেয়নি নাপোলি। ৭৭ মিনিটে মারটেনসের গোলে আবার এগিয়ে যায় তারা।

    গোল শোধ করতে মরিয়া পিএসজি বারবারই হানা দিয়েছে নাপোলি রক্ষণভাগে। কিন্তু কিছুতেই যেন সেই দূরগ ভাঙতে পারছিল না টুখেলের দল। শেষ পর্যন্ত ডি মারিয়াই রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ৯৩ মিনিটে। এই ড্রয়ে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সি গ্রুপের তৃতীয় স্থানে আছে পিএসজি। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নাপোলি।

     

     

    সি গ্রুপের অন্য ম্যাচে লিভারপুল পেয়েছে বড় জয়। মোহামেদ সালাহর জোড়া গোলে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপের শীর্ষেই আছে তারা। ২০ মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন রবার্তো ফিরমিনো। ৪৫ ও ৫১ মিনিটে গোল পান সালাহ। ৮০ মিনিটে গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করেছন সাদিও মানে।

    লিভারপুল জিতলেও হেরে গেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে তারা। ৩৮ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে দেন অ্যাক্সেল উইটসেল। ৭৩ ও ৮৯ মিনিটে জোড়া গোল আসে রাফায়েল গুরেরিওর পা থেকে। ৮৩ মিনিটে আরেকটি গোল করেছেন সানচো। ৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এটিই ডিয়েগো সিমিওনের সবচেয়ে বড় হার। এই হারের পড়েও ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছেন অ্যাটলেটিকো, ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ডর্টমুন্ড।  গ্রুপের অন্য ম্যাচে ক্লাব ব্রুজের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে মোনাকো।