পিছিয়ে পড়া জুভেন্টাসকে জিতিয়েই ফিরলেন রোনালদো
জুভেন্টাসের হয়ে গোল করেছেন অথচ দল জেতেনি- এমনটা প্রথমবার হয়েছে গত সপ্তাহেই। জেনোয়ার বিপক্ষে দলকে জেতাতে না পারায় একটা চাপা ক্ষোভই যেন চেপে রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানোর রোনালদো। সেই আগুনেই জ্বলে পুড়ে ছারখার হল এম্পোলি। পিছিয়ে পড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে সিরি আ-র নতুন দলটির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে এনেছে জুভেন্টাস। ২০১২-১৩ মৌসুমের পর এবারই সিরি আ-র প্রথম ১০ ম্যাচে অপরাজিত থাকল ইতালির চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই রোনালদো-দিবালারা আক্রমণে একেবারেই সুবিধা করতে পারছিলেন না। ম্যাচের শুরুতে অনুশীলনে ইনজুরিতে পড়ায় খেলতে পারেননি জর্জিও কিয়েলিনি। প্রথমার্ধেই কিয়েলিনির অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে জুভেন্টাস। আক্রমণের মতো রক্ষণেও তাই ধুঁকতে হচ্ছিল জুভেকে। পুরোটা প্রথমার্ধই প্রতি-আক্রমণেই খেলেছিল এম্পোলি। ২৮ মিনিটে লিডটাও নিয়েছে কাউন্টারেই।হামিদ ট্রায়োরের ক্রস ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন লিওনার্দো বনুচ্চি। ডিবক্সে বল পেয়েই চমৎকার এক বাঁকানো শটে এম্পোলিকে এগিয়ে দেন ফ্রাঞ্চেস্কো কাপুতো।
গোলের পর মাঠের মাঝখানে দু'হাত আকাশে ছুঁড়ে হতাশা প্রকাশ করছিলেন, যেমনটা করেন নিয়মিতই। গোলের পরই বল পেয়েই সেন্টার করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার তাগাদা দিতে থাকেন রোনালদো। প্রথমার্ধে এম্পোলির 'বাস-পার্ক' ট্যাকটিক্সের কাছে হার মানতেই হয় জুভেন্টাসকে। সেই অবস্থায় কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাই যেন দরকার ছিল তুরিনের বুড়িদের। ৫৪ মিনিটে ভাগ্যটা ফিরে তাকায় জুভেন্টাসের দিকে। বল দখলে আনতে গিয়ে দিবালাকে ডিবক্সে ফেলে দেন জিয়ানপাওলো কালভারেস। ১২ গজ থেকে দলকে সমতায় ফেরান রোনালদো। গোলের পর কোনও ধরনের উদযাপন নয়, বরং বল হাতে সেন্টারের দিকে দৌড়ে যান রোনালদো। কাজটা যে শেষ হয়নি এখনও- তাই যেন জানিয়ে রেখেছিলেন। ৭০ মিনিটে প্রত্যাবর্তনটা নিশ্চিত করেন তিনিই। ডানপ্রান্তে বল নিয়ন্ত্রণে এনে ডানপায়ের আগুনে শটে দলকে লিড এনে দেন রোনালদো। ম্যাচের বাকিটা সময় শত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফেরা হয়নি এম্পোলির। শেষ পর্যন্ত আর রূপকথাটা বাস্তব পরিণত করা হয়নি এম্পোলির। আর রোনালদোর পায়ের জাদুতে আবারও শেষ হাসিটা হাসল জুভেন্টাসই।