• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ১২ গজেই থেমে গেল আর্সেনালের '১২'

    ১২ গজেই থেমে গেল আর্সেনালের '১২'    

    ১৮ আগস্ট, ২০১৮। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির কাছে হেরে গেল আর্সেনাল। আর্সেন ওয়েঙ্গার-পরবর্তী যুগের প্রথম মৌসুমের শুরুতেই হতাশায় আচ্ছন্ন আর্সেনালের সমর্থকেরা। কিন্তু এর পরের মাস দুয়েক টানা ১১ ম্যাচ জয়ের পর আর্সেনাল সমর্থকদের মাঝে হতাশার বদলে জায়গা করে নিয়েছিল সম্ভাবনার সম্ভার। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে আজ তাই 'ফেভারিট' ছিল 'গানার'রাই। পিছিয়ে পড়ে লিডটাও নিয়েছিল তারা। কিন্তু ম্যাচের মাত্র মিনিট সাতেক বাকি থাকতে লুকা মিলিভোয়েভিচের পেনাল্টিতে শেষমেশ ১১-তেই থেমে গেল আর্সেনালের জয়রথ। প্যালেসের সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে উনাই এমেরির দল। আর্সেনালের কষ্ট হলেও হেসেখেলেই জিতেছে লন্ডনের আরেক দল চেলসি। বার্নলিকে তাদেরই মাঠে ৪-০ গোলে হারিয়েছে মরিজিও সারির দল।

    সেলহার্স্ট পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই আর্সেনালকে চেপে ধরেছিল প্যালেস। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই লিড নিতে পারত তারা। কিন্তু অ্যারন ওয়ান-বিসাকার পাস থেকে করা অ্যান্ড্রোস টাউনসেন্ডের শট প্রতিহত হয় আর্সেনালের বারপোস্টে। এর মিনিটখানেক পর জেমস ম্যাকার্থারের পাস থেকে সহজ সুযোগ মিস করেন সেই টাউনসেন্ডই। প্রথমার্ধে প্যালেসের আক্রমণ রুখতেই ব্যস্ত ছিল আর্সেনাল। কিন্তু ৪৪ মিনিটে নিজেদের ভুলেই প্যালেসকে পেনাল্টি উপহার দেয় তারা। চিক কুইয়াটেকে ডিবক্সে ফেলে দেন স্কোদরান মুস্তাফি। ১২ গজ থেকে বার্নড লেনোকে পরাস্ত করেন মিলিভোয়েভিচ।

     

     

    শেষ ১২ ম্যাচে এবারই কোনো প্রথমার্ধে পিছিয়ে মাঠ ছেড়েছিল আর্সেনাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচে ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা দেখা যাচ্ছিল 'গানার'দের মাঝে। সময়ও নেয়নি খুব একটা তারা। ৫১ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে দলকে সমতায় ফেরান গ্রানিত শাকা। এর মিনিট চারেক পরই দলকে লিড এনে দেন অবামেয়াং। ৫৫ মিনিটে ওজিলের কর্ণার থেকে তার শট ফেরাতে ব্যর্থ হন ওয়েন হেনেসি। গোল লাইন প্রযুক্তির সাহায্যে গোলের বাঁশি দেন রেফারি। কিন্তু লিড নেওয়ার পর থেকেই কেমন যেন মিইয়ে যায় আর্সেনাল। বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেন তারা। ৮৪ মিনিটে শাকা, উইলফ্রেড জাহাকে ডিবক্সে ফাউল করলে প্যালেসকে আবারও পেনাল্টি উপহার দেয় আর্সেনাল। এবারও ভুল করেননি মিলিভোয়েভিচ। 

    আর্সেনালের মত অবশ্য এতটা ভুগতে হয়নি চেলসিকে। এডেন হ্যাজার্ডের অভাবটা একেবারেই বুঝতে দেননি উইলিয়ানরা। ২১ মিনিটে উইলিয়ানের শট বারপোস্টে প্রতিহত না হলে তখনই লিডটা নিত চেলসি। তবে মিনিটখানেক পরই দলকে লিড এনে দেন আলভারো মোরাতা। রস বার্কলির সুযোগসন্ধানী পাসে ডানপায়ের আলতো টোকায় জো হার্টকে পরাস্ত করেন তিনি। গোলের পর বার্নলিকে আরও চেপে ধরে চেলসি। 'সারি বল'-এর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। প্রথমার্ধে 'ব্লুজ'দের ঐ এক গোলেই আটকে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধের তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে বার্নলি। ৫৭ মিনিটে বার্কলির গোলের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় চেলসির জয়। বাকিটা সময় কছুটা গা বাঁচিয়ে খেললেও থেমে থাকেনি চেলসির গোলবন্যা। ৬৩ মিনিটে উইলিয়ানের চমৎকার বাঁকানো শটে ব্যবধান ৩-০ করে চেলসি। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সকয় রুবেন লফটাস-চিকের গোলে নিশ্চিত হয় বড় জয়। গত সপ্তাহে ইউরোপা লিগে হ্যাটট্রিকের পর আজ আবারও জাল খুঁজে পেলেন তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার। মূল একাদশে খেলার সামর্থ্য আছে তার - এমনটাই যেন সারিকে জানিয়ে রাখলেন তিনি।