• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    "রেড ডেভিলদের ঘৃণা করতে 'শেখায়' লিভারপুল"

    "রেড ডেভিলদের ঘৃণা করতে 'শেখায়' লিভারপুল"    

    ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছেন অ্যানফিল্ডে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড সম্পর্কে তাই কেমন ধারণা পোষণ তা মুখে না বললেও চলে। তারপরও লিভারপুলের সাবেক দলপতি স্টিভেন জেরার্ড খোলাসা করেই জানালেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্যাপারে ঠিক কি ধরণের মনোভাব নিয়ে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন। সম্প্রতি ইংলিশ দৈনিক ডেইলে মেইলে ধারাবাহিকভাবে লিখছেন আত্মজীবনী। সেখানেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে শেষ মোলাকাতের ‘ভুলে যাওয়ার মতো’ স্মৃতিটা চারণ করতে গিয়ে লিখেছেন, রেড ডেভিলদের প্রতি ‘ঘৃণা’টা লিভারপুলের ‘শিক্ষা’রই অংশ।

     

    গত মার্চে শেষবারের মতো ইউনাইটেডের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। তবে মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সাথে বিবাদে জড়িয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মাত্র ৩৮ সেকেন্ডের ব্যবধানে! আত্মজীবনীতে জেরার্ড আলাদা করেই কলমবন্দী করতে চেয়েছেন ওই বিশেষ মুহূর্তটুকু,  “ওই আটত্রিশটা সেকেন্ডের প্রতিটা মুহূর্ত ভয়ংকর ক্রোধে জ্বলছিলাম। ৩৮টা সেকেন্ড ক্ষোভ আর পাগলামির একটা মিশ্র অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম।”

     

     

    ঠিক কোত্থেকে আসা এমন ক্রোধে জ্বলে এত অল্প সময়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া? “ইউনাইটেডকে ঘৃণা করতে শিখেই বড় হয়েছি। এটা আমাদের মগজে গেঁথে দেয়া হয়। লিভারপুল সমর্থক হিসেবে মন-আত্মা সবকিছু দিয়ে আপনাকে ওদের ঘৃণা করা শিখতে হবে। প্রতিটা লিভারপুল সমর্থকের মাথায় এটা উল্কির মতো বসিয়ে দেয়া হয়। আমরা কখনই একে অপরকে পছন্দ করতাম না; না ক্লাব হিসেবে, না শহর হিসেবে। এই শত্রুতা সময়ের সাথে কেবল বেড়েছেই।”

     

    ইউনাইটেডের কাছে আধিপত্য খোয়ানোটাও উন্মত্ত ক্ষোভের কারণ হিসেবে মানেন অ্যানফিল্ডের সাবেক সেনাপতি, “একটা সময় পর্যন্ত লিভারপুলেরই দাপট ছিল। কিন্তু স্যার আলেক্স ফার্গুসনের অধীনে ইউনাইটেড সেটা নিজেদের করে নেয়।”

     

    এক মিনিটেরও কম সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও জেরার্ড মনে করেন ওই ম্যাচের প্রথম একাদশেই তাঁর থাকা উচিৎ ছিল। ম্যাচের আগের রাতে লিভারপুল ম্যানেজার ব্রেন্ডন রজার্সের টেক্সট মেসেজেও তেমন বার্তাই তিনি পেয়েছিলেন বলে দাবী তাঁর।

     

    আর সে কারণেই ম্যাচের দিন প্রথম একাদশে নিজেকে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন, “আমি রজার্সের ওই সিদ্ধান্তকে নীতিগতভাবে সম্মান করলেও এখনও মনে করি সেদিন অমনটা করা তাঁর ঠিক হয় নি। কষ্ট পেয়েছিলাম খুব। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আসলে আগের রাতে তাঁর প্রশংসায় ভরা মেসেজ পেয়ে আমি নিশ্চিত ভেবে বসেছিলাম যে সেদিন আমি শুরুতেই নামার সুযোগ পাচ্ছি। হয়তো সে এমন কিছু বোঝাতে চায় নি। কিন্তু কি আর করা, আমিই তাহলে ভুল বুঝেছিলাম!”