হেসুসের হ্যাটট্রিকে সিটির বড় জয়
শেষ বাঁশি বাজার পর শাখতার দোনেস্কের ফুটবলারদের মুখভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ শেষ হওয়ায় যেন তারা হাঁফ ছেড়ে বেঁচে গেছেন! ম্যাচের যে স্কোরলাইন, এমনটা হওয়াই হয়ত স্বাভাবিক। ঘরের মাঠে শাখতারকে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের ইতিহাসে এটাই সিটির সবচেয়ে বড় জয়।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা কিন্তু তৈরি করেছিল শাখতারই। ১০ মিনিটে মোরাইয়েসের দারুণ এক হেড ঠেকিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন। পরের মিনিটেই গ্যাব্রিয়েল হেসুসের হেডও বাঁচিয়ে দেন শাখতার গোলরক্ষক পেতভ। ১৩ মিনিটে ডেভিড সিলভার শট আর বাঁচাতে পারেননি তিনি, রিয়াদ মাহরেজের পাসে সিটিকে এগিয়ে দেন সিলভা।
গোল উৎসবের সেই শুরু। ২৪ মিনিটে বক্সের ভেতর স্টার্লিং পড়ে গেলে পেনাল্টি পায় সিটি, পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি হেসুস। স্টার্লিংয়ের এই পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে অবশ্য খানিকটা বিতর্ক ছিল। ৩১ মিনিটে আবার হেসুসকে হতাশ করেন পেতভ। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় সিটিজেনরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তৃতীয় গোল আসেন রহিম স্টার্লিংয়ের পা থেকে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট বাঁচাতে পারেননি পেতভ। ৭১ মিনিটে আবার পেনাল্টি পায় সিটি, এবার ফাউল করা হয় সিলভাকে। দ্বিতীয়বারের মতো পেনাল্টি থেকে গোল করেন হেসুস। ৮৪ মিনিটে সিটিকে পঞ্চম গোল এনে দেন মাহরেজ, পাল্টা আক্রমণ থেকে গুন্দোয়ানের পাসে বল পেয়ে গোল করেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। অতিরিক্ত সময়ের তিন মিনিটের মাথায় নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হেসুস। আরেকটি পাল্টা আক্রমণ থেকে হেসুসকে পাস দেন মাহরেজ। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়ার হেসুসের শট সহজেই পরাস্ত করে পেতভকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে সিটির হয়ে হ্যাটট্রিক পাওয়া তৃতীয় ফুটবলার হলেন হেসুস। শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটি।
সিটির দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যেতে পারত এই জয়ের পরেই। তবে গ্রুপের অন্য ম্যাচে হারতে হারতে হফেনহেইমের ড্র করায় সেটা হয়নি। ৯২ মিনিটে গোল করে লিঁওর সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে হফেনহেইম। লিঁও জিতলেই সিটির দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যেত। এই ড্রয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল জার্মান ক্লাবটি।
অন্যদিকে গ্রুপ ই এর ম্যাচে জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এইকে অ্যাথেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড অনেকটাই নিশ্চিত জার্মান ক্লাবটির। বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেছেন লেভানডভস্কি, ৩১ ও ৭১ মিনিটে দুটি গোল করেন তিনি।
গ্রুপ জি এর ম্যাচে সিএসকেএ মস্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ওপর চাপটা বজায় রাখল রোমা। ৪ ম্যাচে রিয়াল ও রোমার পয়েন্ট ৯, গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিয়াল।