• সিরি আ
  • " />

     

    মিলানে হিগুয়াইনের দুঃস্বপ্নের রাত, জুভেন্টাসের রেকর্ড

    মিলানে হিগুয়াইনের দুঃস্বপ্নের রাত, জুভেন্টাসের রেকর্ড    

    জুভেন্টাসে দুই বছর কাটিয়ে এবারই এসি মিলানে যোগ দিয়েছিলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। এখনও অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কিনে নেয়নি মিলান, চুক্তি হয়েছে ধারে। জুভেন্টাসে সময়টা দারুণ কাটিয়েছিলেন হিগুয়াইন, তার সাফল্যও কম নয় ওই দুই বছরে। কিন্তু সাবেক ক্লাবের মুখোমুখি হওয়ার ম্যাচটা হিগুয়াইনের জন্য হয়ে থেকেছে দুঃস্বপ্নের। পেনাল্টি মিস করেছেন প্রথমার্ধে, তাই মিলানের আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। পরে লাল কার্ড দেখেও মাঠ ছেড়েছেন হিগুয়াইন। আর মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়ে জুভেন্টাস আর তাদের জয়রথ ছুটছেই। ১২ ম্যাচ শেষে তুরিনের ওল্ড লেডিদের পয়েন্ট ৩৪, সিরি আর ইতিহাসে সেরা সূচনা করেছে মাসসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল।  

    সান সিরোতে ম্যাচের ৮ মিনিটেই জুভেন্টাস এগিয়ে যায়। একাদশে সুযোগ পাওয়া মারিও মাঞ্জুকিচ ফিরেই গোল করেন। আলেক্স সান্দ্রোর লেফট উইং থেকে করা ক্রসে হেডে গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন ক্রোয়াট ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর প্রায় একই রকম জায়গা থেকে ব্যবধানটা দ্বিগুণও করতে পারতেন তিনি।



    প্রথমার্ধ শেষের কিছুক্ষণ আগে ম্যাচে ফেরার দারুণ এক সুযোগ পায় মিলান। হিগুয়াইনই বল পেয়েছিলেন ডিবক্সের ভেতর, কিন্তু প্রতিপক্ষের মেহেদি বেনাতিয়ার হাতে বল লাগার পরও রেফারি পেনাল্টি দেননি। পরে ভিএআর অবশ্য সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছে। কিন্তু সাবেক সতীর্থ ভোজায়িক সেজনিকে বোকা বানাতে পারেননি হিগুয়াইন। সেজনি হিগুয়াইনকে একটা নির্দিষ্ট দিকেই মারার আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিলেন রেফারির বাঁশির আগে। স্পট কিক নেওয়ার সময়ও হিগুয়াইন সেদিকেই মারলেন, সেজনি নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেন সেই শট। প্রথমার্ধে তাই আর ফেরা হয়নি মিলানের।

    ঘরের দলের আফসোস আরও বাড়িয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জুভেন্টাসের দ্বিতীয় গোলের শুরু আর শেষ দুই পর্তুগিজের হাত ধরেই। হোয়াও ক্যান্সেলো শট করেছিলেন ডানদিক থেকে, জিয়ানলুইজি ডোনারুমা সেই শট সেভ করেও পার পাননি। রিবাউন্ডে বল চলে যায় রোনালদোর কাছে। এরপর সহজ ফিনিশে বাকি কাজ সারেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। 

    ম্যাচে যখন মিলানের হার প্রায় নিশ্চিত তখনই দুঃস্বপ্নের শেষ সীমানায় পৌঁছায় হিগুয়াইনের রাত। ৮৩ মিনিটে বেনাতিয়াকেই ফাউল করেছিলেন হিগুয়াইন। রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়ে সচেতন করে দেন আর্জেন্টাইনকে। কিন্তু রেফারিকে উলটো কথা শুনিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটাও দেখে ফেলেন মিলান স্ট্রাইকার। সব হারানোর ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে পরে মাঠ ছাড়তে হয় হিগুয়াইনকে।

    হিগুয়াইন খেললেও, লিওনার্দো বনুচ্চিকে অবশ্য মাঠে নামাননি আলেগ্রি। মিলানে এক বছর কাটিয়ে আবারও জুভেন্টাসে ফেরা ডিফেন্ডার ম্যাচ দেখেছেন সাইডবেঞ্চে বসেই।