• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    কাভানির হ্যাটট্রিকে নাজেহাল অঁরির মোনাকো

    কাভানির হ্যাটট্রিকে নাজেহাল অঁরির মোনাকো    

     

    গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্লাব ব্রুজের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল তারা। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের ইতিহাসে নিজেদের সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ পেতে হয়েছিল মোনাকোকে। থিয়েরি অঁরির মোনাকো কাল আবারও হজম করল চার গোল। লিগের ম্যাচে এডিসন কাভানির হ্যাটট্রিকে মোনাকোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও পাকাপোক্ত করলেন নেইমার-এমবাপ্পেরা।

    ৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। নেইমারে শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই অবশ্য লিড নেয় তারা। নেইমারের বাড়ান বলে গোল করেন কাভানি। কাভানি অফসাইড হয়েছে কিনা, সেই ব্যাপারে ভিএআরের সাহায্যও নেন রেফারি। ৭ মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাভানি। মুসা দিয়াবির পাসে বক্সের ভেতরে বল পেয়ে মোনাকো কিপারকে বোকা বানাতে ভুল করেননি তিনি। প্রথম গোলের মত এবারও ভিএআরের সাহায্য নিয়েছেন রেফারি।

    ১৭ মিনিটে আসে মোনাকোর প্রথম আক্রমণ। রাদামেল ফ্যালকাওয়ের শট ঠেকিয়ে দেন আরেওলা। ২৬ মিনিটে সোফিয়ান ডিপোর শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে তৃতীয় গোল পেতে পারত পিএসজি। জুলিয়ান ড্রাক্সলারের গোল ভিএআরের সাহায্যে বাতিল হয় অফসাইডের কারনে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কাভানি। ৫৩ মিনিটে দিয়াবির বাড়ান বলে গোল করে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর ব্যবধান কমানোর বেশ কিছু সুযোগ এসেছিল মোনাকোর সামনে। বেঞ্জামিন হেনরিখ, উইলসন ইসিদরকে হতাশ করেন আরেওলা।

    ৬২ মিনিটে এমবাপ্পের পাসে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের দারুণ এক শট নিয়েছিলেন নেইমার, সেটা ঠেকিয়ে দেন মোনাকো কিপার। দুই মিনিট পরেই বক্সের ভেতর এমবাপ্পেকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি নেইমার। ৭৮ মিনিটে গোল পেতে পারতেন এমবাপ্পেও, অফসাইডের ফাঁদে পরলে সেটা হয়নি।

    এই হারে অঁরির অধীনে ছয় ম্যাচের চারটিতেই হারল মোনাকো। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে তারা। ১৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে ১৯তম স্থানে, চোখ রাঙাচ্ছে অবনমন। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে আরেকটি লিগ শিরোপার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পিএসজি।