• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    নেইমারের গোলে উরুগুয়েকে হারাল ব্রাজিল

    নেইমারের গোলে উরুগুয়েকে হারাল ব্রাজিল    

     

    ১৯৫০ সালে মারাকানার সেই ফাইনালের পর ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচ মানেই যেন বিশেষ কিছু। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে দুই দল প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হলেও সেই উত্তাপটা ছিল পুরো ম্যাচজুড়েই। ফাউলে ভরপুর এই ম্যাচে পেনাল্টিতে নেইমারের একমাত্র গোলে উরুগুয়েকে হারিয়েছে ব্রাজিল।

    ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল ব্রাজিলিয়ানদের আধিপত্য। ৬ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার, তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক। ১২ মিনিটে গোল পেতে পারতেন উরুগুয়ের মাতিয়াস ভেসিনোও, লুইস সুয়ারেজের পাসে পাওয়া বলে তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

    ২৪ মিনিটে নেইমারকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন লুকাস টোরেইরা। প্রথমার্ধে হলুদ কার্ড দেখেছেন আরও দুই উরুগুইয়ান। মাথিয়াস সুয়ারেজ ও মাটিয়াস ভেসিনোকেও হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন রেফারি। বারবার উরুগুইয়ানদের ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ডগলাস কস্তা ও ওয়ালাসও। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন এডিনসন কাভানি। সুয়ারেজের পাসে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন, সেটা ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন বেকার।

    দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ান সুয়ারেজরা। ৫০ মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ এসেছিল উরুগুয়ের সামনে। সুয়ারেজের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন। ৫৫ মিনিটে কস্তার শট বাঁচান কাম্পানা। ম্যাচে যখন কোনো দলই গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না, তখনই ৭৬ মিনিটে দানিলোকে বক্সের ভেতর ফেলে দেনে ডিয়েগো লাক্সাত। সেই পেনাল্টি নিয়ে অবশ্য উরুগুয়ে ফুটবলাররা রেফারির সাথে তর্কে জড়িয়েছিল। তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন সুয়ারেজ।

    পেনাল্টি পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি নেইমার। ডানদিকে নেওয়া নেইমারের শট ঠেকানোর উপায় ছিল না কাম্পানার সামনে। জাতীয় দলের হয়ে নেইমারের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৬০ এ।৮৬ মিনিটে নেইমারকে বাজেভাবে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন পিএসজি সতীর্থ কাভানিও। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ছয়জন উরুগুয়ে ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। এই নিয়ে টানা ১০ ম্যাচে ব্রাজিলকে হারাতে পারল না উরুগুয়ে।