• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    পেনাল্টি ঠেকানোর কৌশল পানির বোতলে!

    পেনাল্টি ঠেকানোর কৌশল পানির বোতলে!    

     

    পানি খাওয়ার জন্য কয়েকবার পোষ্টের ভেতরে ঢুকে বোতলটা হাতে নিলেন তিনি। পানি খাওয়ার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ল, ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের বোতলে কিসব যেন লেখা। ক্যামেরা জুম করলে দেখা গেলো, পেনাল্টি ঠেকানোর বেশ কিছু কৌশল লেখা আছে সেখানে! যুক্তরাষ্ট্রের কেউ যদি পেনাল্টি নিতে আসেন, তাহলে কোনদিকে ঝাঁপাতে হবে, বোতলে সেটাই লিখে রেখেছিলেন পিকফোর্ড।

    সব গোলরক্ষকই পেনাল্টি ঠেকানো নিয়ে নানা কৌশল ঠিক করেন। তবে সেটাকে লিখিত আকারে মাঠে নিয়ে আসেন, এমন কিপারের সংখ্যা হয়ত খুবই কম। আর পানির বোতলে লিখে সেটা গোলপোস্টের ভেতরে রাখা, সেটা তো আশ্চর্য হওয়ার মতোই বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে এভাবে পেনাল্টি সেভের কৌশল লিখে রেখেছিলেন পিকফোর্ড। ম্যাচ চলার সময় বেশ কয়েকবার পানি খেতে যাওয়ায় সেটা ধরা পড়েছে ক্যামেরাতেও।

    এবারের বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে পিকফোর্ডের বীরত্বেই শুটআউটে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের হয়ে তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন তিনি। গত মাসে ক্রিস্টাল প্যালেসের লুকা মিলিভযেভিচের পেনাল্টি ঠেকানোর পর পিকফোর্ড জানিয়েছিলেন, পেনাল্টি নিয়ে সেবার ভালমতো প্রস্তুতি নিতে পারেননি, ‘আমি আসলে প্যালেসের বিপক্ষকে ম্যাচের আগে প্রস্তুতি নেইনি। তবে আগের ম্যাচের কিছু ভিডিও দেখে ধারণা নিয়েছিলাম। পেনাল্টি ঠেকাতে সবসময় ভালোই লাগে।’

    যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে যে সব প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন, সেটা তো পিকফোর্ডের বোতলের গায়ে লেখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এই ম্যাচে অবশ্য পেনাল্টি ঠেকাতে হয়নি তাকে, ওয়েইন রুনির বিদায়ী ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছে ৩-০ গোলে।  

    গোলরক্ষকদের এরকম কৌশল অবলম্বন করা অবশ্য ফুটবলে নতুন নয়। গত বছর ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জার্মানি গোলরক্ষক জুলিয়ান পোলারসবেক মোজা থেকে কৌশল লেখা কাগজ বের করেছিলেন। ২০০৯ সালে সালে টটেনহামের বিপক্ষে কারলিং কাপের ম্যাচ চলার সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক বেন ফস্টার নিজের আইপ্যাড বের করে করেছিলেন। সেই ম্যাচে দুটি পেনাল্টিও ঠেকিয়েছিলেন ফস্টার।

    শুধু ফুটবলে নয়, ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ইংল্যান্ডের মহিলা হকি দলের গোলরক্ষক ম্যাডি হিঞ্চ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের সময় পানির বোতলে পেনাল্টি ঠেকানোর কৌশল লিখে এনেছিলেন। চারটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে তিনিই ইংল্যান্ডকে সোনা জেতান।