বিব্রত হয়ে ইউনাইটেড ছাড়তে হয়েছিল রুনিকে
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিজের বিদায়ী ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ড এসেছিলেন ওয়েইন রুনি। ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা শেষ ম্যাচে ঘরের সমর্থকদের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনাই পেয়েছেন। ইংল্যান্ডকে অবশ্য আরও আগেই বিদায় বলেছিলেন রুনি, ম্যাচটা তাঁর জন্য ছিল তাই নিছক আনুষ্ঠানিকতার। গতবছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এভারটনে যোগ দিয়েছিলেন রুনি। তখনই জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন। শৈশবের ক্লাব এভারটনে থিতু হতে পারেননি, এবারই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ডালাস এফসিতে পাড়ি জমিয়েছেন রুনি। কিন্তু বলছেন ইউনাইটেড তাকে ছাড়তেই হত, কিন্তু ছাড়ার সময় বেশ বিব্রত হয়েই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।
ইউনাইটেডে শেষ মৌসুমে দলে নিয়মিত সুযোগ হারিয়েছিলেন রুনি। "এমন সময় আসবে আপনার তখন মনে হবে, এই কাজের জন্য আমি যোগ্য কী না? হোসে মরিনহো যখন আমাকে দল থেকে বাদ দিল, তখনই আমার নিজের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ জেগেছিল। এরপর আমি উন্নতি করেছি, দলে খেলার মতো অবস্থাতেও ছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ আর মেলেনি আমার।
"ইউরোপা লিগের ফাইনালে এক মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলাম আমি। আর লিগ কাপের ফাইনালে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আর নামা হয়নি। কিন্তু মাঠে নামার জন্য এই অপেক্ষাটা লজ্জার ছিল আমার জন্য।"
সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে লিগ কাপ শিরোপা ঘরে তুলেছিল ইউনাইটেড। ওই ম্যাচে নামারই সুযোগ হয়নি রুনির। ঠিক ওই মুহুর্তটাতেই নাকি রুনি বুঝতে পেরেছিলেন, ক্লাব ছাড়ার সময় হয়ে গেছে তার। "ব্যাপারগুলো এমন একদিকে মোড় নিচ্ছিল যেখানে আমাকে কেবল বিব্রতই হতে হচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল এগুলো আমার পক্ষে করা সম্ভব না। ইউনাইটেড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল, কিন্তু আর চালিয়ে যাওয়াও সম্ভব ছিল না।"
"সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মরিনহো আমাকে এসে বলেছিল, উনি চান যাতে আমি শিরোপা উঁচিয়ে ধরি। আর আমার তখন মনে হচ্ছিল, কেন? আমি তো এই ম্যাচে খেলিইনি। আমাকে বারবার একই কাজ করতে বলা হয়েছিল, আর আমিও শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলাম। কিন্তু আমি করছিলামটা আসলে! আমি তখনই জানতাম, আমাকে ক্লাব ছাড়তে হবে।"