রামোসের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের অভিযোগ!
ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময় বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু ডোপিংয়ের মতো ভয়াবহ অভিযোগ হয়ত আর কখনোই আসেনি রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোসের বিরুদ্ধে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক খবরে জানা গেছে, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে নিষিদ্ধ বস্তু সেবন করেছিলেন রামোস!
মিডিয়াপার্ট ও ডের স্পাইগেলের এক রিপোর্টে উঠে এসেছে রামোসের ডোপিংয়ের বিস্তারিত। শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে নয়, রামোস নাকি একই অপরাধ করেছিলেন এই বছরের এপ্রিলে লা লিগায় মালাগার বিপক্ষে ম্যাচেও। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে শেষ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২০১৭ সালের ৪ জুন, আগের রাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে রিয়াল। জুভেন্টাসকে ৪-১ গোলে হারানোর পর রিয়ালের সবার মূত্র নমুনা এসে পৌছায় অস্ট্রিয়ার অ্যান্টি ডোপিং পরীক্ষাগারে। সেখানে কোড নাম্বার ৩৩২৩৮২২ এর পরীক্ষার পর দেখা যায়, সেখানে আছে ডেক্সামেথাসোন নামের উপাদান, যা ব্যথায় উপশম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এটি বিশ্বকাপ ডোপিং এজেন্সির নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকাতেও আছে। পরে জানা যায়, এটা রামোসের দেওয়া নমুনা। এই ব্যাপারে ইউয়েফার কাছে চিঠিও দেওয়া হয়। ইউয়েফা নাকি রিয়ালকে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেয়।
রিয়ালের এক ডাক্তার, যার নাম এই রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়নি, তিনি ইউয়েফাকে বলেন, রামোসের হাঁটু ও কাঁধের ব্যথার জন্য ১.২ মিলিলিটার সেলেস্টোন করনোডেস নামের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, যা নিষিদ্ধ থাকা ডেক্সামেথাসোনের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সেখানে আরও বলা হয়, নমুনা দেওয়ার আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় ও সাবেক রাজা হুয়ান কার্লোস ফুটবলারদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। এজন্যই আসলে 'অনিচ্ছাকৃত ভুল' হয়ে গেছে নমুনা সংগ্রহের সময়। ইউয়েফা তখন রিয়ালের এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে পরবর্তীতে আর তদন্ত করেনি।
এই বছরের এপ্রিলেও রামোসের মূত্র নমুনায় নিষিদ্ধ বস্তু ছিল বলে দাবি মিডিয়াপার্ট ও ডের স্পাইগেলের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মালাগার বিপক্ষে ম্যাচের পর রিয়াল ফুটবলারদের মূত্র নমুনা চাওয়া হয়। সেই নমুনা দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান রামোস। নমুনা দেওয়ার আগে অনেকটা জোর করেই গোসল করেন তিনি, যা ডোপিংয়ের নমুনা দেওয়ার আগে করার আইন নেই। স্প্যানিশ অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি অবশ্য জানায়, রামোস নিজের নমুনা পরিবর্তনের জন্য গোসল করেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের দায়ে অভিযুক্ত হলে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতেন রামোস। সংবাদমাধ্যমের এই রিপোর্ট নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি রামোস।