• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছাড়তে চান নি ফার্গুসন

    ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছাড়তে চান নি ফার্গুসন    

    ২৬ বছরের গাঁটছড়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর স্যার আলেক্স ফার্গুসন নাম দুটো তাই সময়ের সাথে সমার্থকই হয়ে গিয়েছিল। ২০১৩ সালে যখন ৭১ বছর বয়সে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ডাগ আউটকে বিদায় বলে দিলেন, অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। আজ বছর দুয়েক পর ফার্গুসন  নিজেই বলছেন, রেড ডেভিলদের সাথে আরও বেশ কিছুদিন কাটানোর ইচ্ছে তাঁর ছিল। তবে সেটা সম্ভব হয় নি পারিবারিক কারনে। জমজ বোনের মৃত্যুতে মুষড়ে পড়া প্রিয়তমা স্ত্রীকে সঙ্গ দেয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল তাঁর কাছে।

     

    ১৩টি প্রিমিয়ার লিগ, ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ ইউনাইটেডের হয়ে মোট ৩৮টি শিরোপা; সংখ্যাটা কি আরও বাড়তে পারতো না? ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জবাবটা ইতিবাচকই ছিল সাবেক ইউনাইটেড বসের, “অবশ্যই চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারতাম।”

     

     

    ২০১২ সালে তাঁর সহধর্মিণী ক্যাথির জমজ বোন ব্রিজেট মারা যান। ওই ঘটনাই শেষপর্যন্ত ফার্গুসনকে বাধ্য করে কর্মজীবনে ইতি টানতে, “একদিন রাতে আমরা বসে টিভি দেখছিলাম। হটাৎ দেখি আমার স্ত্রী টিভি পর্দা নয়, তাকিয়ে আছে সিলিংয়ের দিকে। বুঝতে পারতাম বোনের মৃত্যু তাঁকে বড় একা করে দিয়েছে।”

     

    অবসরের জন্য স্বামীকে কখনও তাড়া দেন নি ক্যাথি। তবে সেবার যখন ফার্গুসন নিজে থেকেই প্রস্তাবটা দিলেন, অমত করেন নি, “যখন বললাম আমি এবার অবসর নেব, ও কোন আপত্তি করে নি। জানতাম সেও এমনটাই চাইছিল।”

     

    স্কটিশম্যানের বিদায়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল তাঁরই স্বদেশী ডেভিড ময়েসকে। কিন্তু ময়েসের ছ’ বছরের চুক্তিটা দশ মাসও টেকে নি। ইউনাইটেডদের শিরোপা ধরে রাখার মৌসুমে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিভীষিকা উপহার দিয়ে বরখাস্ত হতে হয় তাঁকে। অনেকেই দাবী করেন, দোষটা ঠিক ময়েসের ছিল না। ফার্গুসনের শেষ মৌসুমে কুড়িতম লিগ শিরোপা জেতা দলটার অনেকেই পরের বছর ছিলেন না। ময়েস যখন ওল্ড ট্র্যাফোর্ড প্রবেশ করেছেন তখন উল্টো পথে মাঠ ছেড়েছেন নেমানজা ভিদিচ, প্যাট্রিক এভরা, রিও ফার্দিনান্দ, রবিন ভন পার্সিরা।

     

    কিন্তু ময়েসের ব্যর্থতায় এসবকে কারণ হিসেবে মানতে কড়া আপত্তিই জানালেন ফার্গুসন, “অবসরের সিদ্ধান্ত নেবার পরও চেষ্টা করে গেছি বাকি সব যেন ঠিকঠাক থাকে, খেলোয়াড়দের আসার পথ যেন বন্ধ না হয়।”

     

     

    ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের অগ্রযাত্রাকে বাসের সাথে তুলনা দিয়ে ফার্গুসন পরোক্ষভাবে বোঝাতে চাইলেন কারও জন্য সেটার পথচলা থেমে থাকে নি, “তখনও বাসটা সামনের দিকেই এগোচ্ছিল। কেউ পিছিয়ে পড়ে নি। আর সবাই আশাবাদী ছিল আমাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যাপারে।”