ভুয়া ছাড়পত্রে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন দুই রাশিয়ান ফুটবলার?
দুজনেই বিশ্বকাপে রাশিয়ার হয়ে খেলেছিলেন। সার্জি ইনাশেভিচ ও মারিও ফার্নান্দেজের বিশ্বকাপটা ভালোই কেটেছে, চমক দেখিয়ে দল উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। কিন্তু এই দুইজনের বিশ্বকাপের খেলার কথাই ছিল না! নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের দায়ে অভিযুক্ত ফুটবলারদের তালিকায় ছিলেন তাঁরা। শেষ মুহূর্তে ফিফার ছাড়পত্র পেয়েই রাশিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঢুকেছিলেন। বিশ্বকাপের পাঁচ মাস পর ডের স্পাইগেল ম্যাগাজিনের এক রিপোর্টে জানা গেছে, ফিফার দেওয়া ওই ছাড়পত্র ছিল সন্দেহজনক।
বিশ্বকাপের আগে রাশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের অ্যান্টি ডোপিং বিভাগ ইনাশেভিচ ও ফার্নান্দেজসহ ১১ জন সন্দেহজনক ফুটবলারের তালিকা ফিফার কাছে পাঠিয়েছিল। একই সাথে ওই ফুটবলারদের মূত্র নমুনা পরীক্ষা করে ফিফার কাছে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছিল মস্কোর একটি পরীক্ষাগারকে। তবে সেই পরীক্ষাগার পরবর্তীতে ফুটবলারদের নমুনার পরীক্ষা করেনি। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ফুটবলাররা ছুটি কাটাতে গেছেন, তাঁর নমুনা নেওয়া সম্ভব না!
বিশ্বকাপ শুরুর কিছুদিন আগে রাশিয়া জানায়, সন্দেহের তালিকায় থাকা রাশিয়ান ফুটবলারদের বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ পায়নি ফিফা, তাই তাঁরা বিশ্বকাপেও খেলতে পারবে। দলে তাই ডাক পান ডিফেন্ডার ফার্নান্দেজ, বিশ্বকাপে গোলও করেছেন। ৩৮ বছর বয়সে অবসর ভেঙে দলে ফেরেন ইনাশেভিচও।
ডের স্পাইগেল তাদের রিপোর্টে বলছে, ফিফা আসলে ইনাশেভিচ ও ফার্নান্দেজের ব্যাপারে কোনো ছাড়পত্রই দেয়নি রাশিয়াকে! ফিফার কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তারাও উত্তর দিতে পারেনি বলেই জানা যায় রিপোর্টে। তাঁরা শুধু বলেছে, ডোপিংয়ের ব্যাপারে রাশিয়ার সাথে কাজ করে যাচ্ছে ফিফা।
শুধু বিশ্বকাপের সময় ইনাশেভিচ ও ফার্নান্দেজ নন, এর আগেও ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে দলে নেওয়া হয়েছে ফুটবলারদের। ২০১৫ সালে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাঁর নমুনাই বদলে দেওয়া হয়। এরপর নতুন রিপোর্ট বানিয়ে তাকে দলে আনা হয়। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলেও ছিলেন তিনি। পরে ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয় তাকে।
এই রিপোর্ট নিয়ে মুখ খোলেননি রাশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কিংবা অভিযুক্ত দুই ফুটবলারের কেউই।