ডোপিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার রামোসের
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের আগে নিষিদ্ধ বস্তু সেবন করেছিলেন তিনি, জার্মানির ডের স্পাইগেল ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল এমনটাই। রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোসের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ নিয়ে গত দুদিন হলো সংবাদমাধ্যম সরগরম। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে রামোস বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা।
ডের স্পাইগেল তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের পর রামোসের মূত্র নমুনায় নিষিদ্ধ বস্তু পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের ডাক্তারের কারণে বেঁচে যান রামোস। এই বছর মালাগার বিপক্ষে ম্যাচেও নিষিদ্ধ বস্তু নেওয়ার পর নাকি নমুনা দিতে চাননি রিয়াল অধিনায়ক।
রামোস বলছেন, তিনি কখনোই নিষিদ্ধ বস্তু সেবন করেননি তাঁর ক্যারিয়ারে, ‘আমাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকায় লেখা হয়েছে। আমি কখনোই ডোপিংয়ে পক্ষে না। কখনোই নিষিদ্ধ কিছু গ্রহণ করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। দুটি ম্যাচ নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে আমি পরিষ্কার করতে চাই। মালাগার বিপক্ষে ম্যাচের পর আমাকে মূত্র নমুনা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ যাত্রা শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম বলেই নমুনা সংগ্রহের আগে গোসল করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। অফিশিয়াল কর্মকর্তার সামনেই গোসলের পর আমি নমুনা দিয়েছি।’
রামোসের দাবি, ইউয়েফা কিংবা রিয়াল তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি, ‘আর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের ব্যাপারে বলতে চাই, সেই নমুনার পরীক্ষা নিয়ে তো দুই পক্ষের মাঝে আগেই সবকিছু পরিষ্কার হয়েছে। আমি আমার ক্যারিয়ারে অসংখ্য নমুনা দিয়ে উতরে গেছি। ইউয়েফা, অ্যান্টি ডোপিং কমিশন কিংবা রিয়াল, সবাই বলেছে আমি নির্দোষ।’
ডের স্পাইগেলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামার আভাসও দিলেন রামোস, ‘তাদের প্রতিবেদন করার যেমন অধিকার আছে, আমারও নিজের সম্মান রক্ষার অধিকার আছে। আমার আইনজীবীরা এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। এরকম মিথ্যা তথ্য নিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করার অধিকার কারো নেই।’
ডের স্পাইগেল এখনো রামোসের এই বিবৃতির জবাবে কিছু বলেনি।