• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বড়দের রাতে দুঃখ ভুললেন রোনালদো

    বড়দের রাতে দুঃখ ভুললেন রোনালদো    

    এই ভ্যালেন্সিয়ার সাথেই চ্যাম্পিয়নস লিগের আগের দেখায় লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। লঘু পাপে গুরু দণ্ডের সেই স্মৃতি সহজে ভোলার নয় রোনালদোর। কাল ফিরতি লেগে সেই ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে আবারও দেখা, গোল না পেলেও দারুণ একটা গোল করিয়ে ধামাচাপা দিলেন দুঃস্মৃতিটা। জুভেন্টাস উঠে গেল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে, যেখানে তাদের সঙ্গী হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখের মতো ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো।

    ড্র করলেই পরের পর্বে চলে যেত জুভেন্টাস। প্রথমার্ধে তাই বেশ সতর্ক ছিল তারা, ভ্যালেন্সিয়াও প্রতিপক্ষের মাঠে কোনো ঝুঁকি নেয়নি। মাত্র একটি করে শট প্রথমার্ধে দুই দল পোস্টে রাখতে পেরেছে। শেজনি দারুণ একটা সেভ না করলে ভ্যালেন্সিয়া অবশ্য প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে গোলের দেখা পেয়ে যায় জুভেন্টাস। বাঁ দিকে জোয়াও ক্যান্সেলোর পাসটা বক্সে খুঁযে নেয় রোনালদোকে। তখনও ভ্যালেন্সিয়ার গ্যাব্রিয়েল পলিস্তা রোনালদোর সঙ্গে সেঁটে ছিলেন, কিন্তু দারুণ একটা ড্রিবলিংয়ে পলিস্তাকে বোকা বানিয়ে বক্সের ভেতর দুর্দান্ত একটা নিচু ক্রস করেন রোনালদো। জায়াগামতো দাঁড়িয়ে থাকা মানজুকিচের শট জালে জড়িয়ে দিতে সমস্যা হয়নি।

    এই গোলের দুই মিনিট পরেই ভ্যালেন্সিয়া গোল শোধ করেই ফেলেছিল। ভ্যালেন্সিয়ার মুকতার দিয়াখাবি বল জালেও জড়িয়ে দিয়েছিলেন ফ্রিকিক থেকে, কিন্তু হাত ব্যবহার করার কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। পাউলো দিবালাও এরপর জুভেন্টাসের হয়ে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, মানজুকিচও রোনালদোর আরেকটি পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন। কিন্তু দুবারই বাধা হয়ে দাঁড়ান ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক নেতো।

    এই জয়ে ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়েই নকআউট পর্বে গেল জুভেন্টাস। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের শততম জয় পেলেন রোনালদো। লিগে এখন পর্যন্ত যে ১৪০টি দল খেলেছে, তার মধ্যে ১৩৬টিরই এই কীর্তি নেই। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা এখনও নিশ্চিত নয়, অন্য ম্যাচে যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও জিতেছে! উইস ক্লাব ইয়ং বয়জের সঙ্গে সেই জয়ের জন্য অবশ্য প্রায় শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে যখন স্কোর গোলশুন্য, বক্সের ভেতর একটা বল পেয়ে যান ফেলাইনি। দারুণ একটা ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৫ ম্যাচে ১০, শেষ ষোলোতে উঠে গেছে তারাও।

    ম্যান সিটির অবশ্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে। লিঁওর মাঠ থেকে ড্র নিয়ে ফিরতে পারলেও হতো, কিন্তু দুই বার তারা পিছিয়ে ছিল ম্যাচে। ৫৫ মিনিটে ম্যাক্সওয়েল করনেটের গোলে প্রথম্বার এগিয়ে যায় লিঁও। সাত মিনিট পর সমতা ফেরান আইমেরিক লাপোর্ত। ৮১ মিনিটে আবার কর্নেটের গোল, আবার এগিয়ে যায় লিঁও। দুই মিনিট পর আগুয়েরো আবার সমতা ফেরান সিটির হয়ে। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সিটির শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে এই ড্রতে। যেমন বেনফিকাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন, ২০০৩ সালের পর প্রথমবার নকআউট পর্বে উঠেছে আয়াক্স। আর রিয়াল-রোমাও যোগ দিয়েছে এদের সঙ্গে।

     

    এক নজরে শেষ ষোলোতে কারা

    গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেঃ রিয়াল মাদ্রিদ

    গ্রুপ রানার আপ হিসেবেঃ রোমা

    এখনও পজিশন ঠিক হয়নি কিন্তু শেষ ষোলোতে উঠেছেঃ আয়াক্স, বায়ার্ন, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস, ম্যান সিটি, ম্যান ইউনাইটেড

    বাদ পড়েছেঃ হফেনহেইম, লোকোমোটিভ মস্কো, মোনাকো, পিএসভি, ভিক্টোরিয়া প্লজেন, ইয়ং বয়জ

    ইউরোপায় যাচ্ছেঃ বেনফিকা

    সবার শেষ নিশ্চিতঃ এইকে এথেন্স