• লা লিগা
  • " />

     

    ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে লা লিগায় জয়ের দেখা পেল রিয়াল মাদ্রিদ

    ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে লা লিগায় জয়ের দেখা পেল রিয়াল মাদ্রিদ    

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গত কয়েক বছরে ভ্যালেন্সিয়াকে হারাতে বেশ বেগই পেতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। গত মৌসুমেও তাদের হারাতে ব্যর্থ হয়েছিল ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা। আজ রিয়াল লিড নিয়েছিল ঠিকই, তবে গোলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল ভ্যালেন্সিয়াই। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের মিসের মহড়ায় আর ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের। আর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঠিকই জয়ের পথে ফিরেছে রিয়াল। ভ্যালেন্সিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ রিয়ালের একাদশে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ সান্তিয়াগো সোলারি। টনি ক্রুস, মার্সেলোদের বদলে মূল একাদশে নেমেছিলেন মার্কোস ইয়োরেন্তে এবং সার্জিও রেগুইলন। ম্যাচের শুরু থেকেই ভ্যালেন্সিয়াকে চেপে ধরেছিল রিয়াল। ২ মিনিটে গ্যারেথ বেলের ক্রস থেকে করিম বেনজেমার দুর্দান্ত ভলি গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে না গেলে তখনই লিড নিতে পারত রিয়াল। তবে লিডের জন্য খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। ৮ মিনিটে দানি কারভাহালের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালে ঠেলে দেন ভ্যালেন্সিয়া ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল ওয়াস। প্রথমার্ধে রিয়ালের প্রেসিংয়ের সাথে একেবারেই পেরে উঠেনি ভ্যালেন্সিয়া।

     

     

    তবে বল পজেশন, গোলের সুযোগ তৈরিতে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় গোলটাই আর পাওয়া হয়নি সোলারির দলের। ২৮ মিনিটে কারভাহালের ক্রস থেকে বেলের আগুনে শট অসামান্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক নেতো। ৩৬ মিনিটে গোলের আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। তবে লুকা মদ্রিচের পাস থেকে বেনজেমার শট চলে যায় ভ্যালেন্সিয়া গোলের সামান্য উপর দিয়ে। প্রথমার্ধে শুধু আক্রমণ নয়, বরং নিচে নেমে রক্ষণেও অনেকবার সাহায্য করেছেন বেনজেমা। সমর্থকদের চোখও এড়ায়নি এমনটা। প্রায় প্রতিবারই জোর করতালি দিয়ে বেনজেমার এমন প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তারা।

     

     

    প্রথমার্ধে রিয়ালের সাথে একেবারেই পেরে উঠেনি তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে কিছুটা স্বরূপে ফিরতে থাকে ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে সান্তি মিনার ক্রস থেকে কেভিন গামেইরোর শট দক্ষহাতে রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ৫৩ মিনিটে ম্যাচে ফেরার দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। দানি পারেহোর দুর্দান্ত লম্বা পাসে কর্তোয়াকে একা পেয়ে যান মিনা। কিন্তু তার ডানপায়ের শট চলে যায় গোলের সামান্য উপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার গোলের দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু গোলটাই আর পাওয়া হয়নি তাদের। ৬৩ মিনিটে পারেহোর ফ্রিকিক থেকে ফ্রান্সিস ককোলানের হেডে বল পান সাবেক আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল পলিস্তা। কিন্তু রিয়ালের গোলের গজ তিনেক দূর থেকে তার ভলি চলে যায় রিয়ালের গোলের সামান্য উপর দিয়ে।

    তবে প্রতি-আক্রমণে রিয়ালও ছেড়ে কথা বলেনি। ৭৩ মিনিটে ইয়োরেন্তের ক্রস থেকে বদলি খেলোয়াড় মার্কো আসেন্সিওর শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন পলিস্তা। তবে ৭৮ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়াকে রীতিমত একাই রুখে দিয়েছেন কর্তোয়া। রিয়ালের রক্ষণের ভুলে কর্তোয়াকে একা পেয়ে যান মিচি বাতশুয়াই। কিন্তু বেলজিয়ান স্ট্রাইকারের শট দুর্দান্ত দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন কর্তোয়া। ভ্যালেন্সিয়ার মিসের মহড়ায় ম্যাচের ৭ মিনিট বাকি থাকতে ব্যবধান ঠিকই দ্বিগুণ করেন লুকাস ভাজকেজ। কারভাহালের ক্রস থেকে বাঁ-প্রান্তে বল পান বেনজেমা। তার পাস থেকে বাঁ-পায়ের মাপা শটে নেতোকে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ উইঙ্গার। শেষ পর্যন্ত বেশ হেসেখেলেই ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েছে সোলারির দল।