রোনালদোর টানা পাঁচে অপরাজিত জুভেন্টাস
আগের চার ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন তিনি। ফিওরেন্টিনার বিপক্ষে পুরো ম্যাচে অনেকগুলো গোলের সুযোগ এসেছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সামনে, তবে কাজে লাগাতে পারেননি একটিও। ৭৮ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, রোনালদো হয়ত এই ম্যাচে গোলের আর দেখা পাবেন না। পরের মিনিটেই পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস, টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করেন সিআর সেভেন। ফিওরেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ১৪ ম্যাচে অপরাজিত রইল জুভেন্টাস।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে দুই দল। ১৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ফিওরেন্টিনার নিকোলা মিলেনকোভিচের সামনে। তাঁর দারুণ এক হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩১ মিনিটে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন রদ্রিগো বেনটাকুর। পাউলো দিবালার পাসে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে বোকা বানান ফিওরেন্টনা কিপারকে। চার মিনিট পর গোল পেতে পারতেন রোনালদোও, বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর শট পোষ্টের একটু বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৪০ মিনিটে দিবালার শট ঠেকিয়ে দেন লাফন্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রোনালদোর শট ঠেকিয়ে দেন লাফন্ট। ৬২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন ফেদ্রিকো চিয়েসা। তাঁর শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন সেজনি। ৬৫ মিনিটে আবারও রোনালদোকে হতাশ করেছেন লাফন্ট। ৬৯ মিনিটে জর্জিও কিয়েলিনির গোলে ব্যবধান বাড়ায় তুরিনের ওল্ড লেডিরা। কর্নার থেকে পাওয়া বলে হেড করেছিলেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো। সেই বল পায়ে পেয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি কিয়েলিনি, ১৮ মাস পর গোল পেলেন তিনি।
৭৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি রোনালদো। জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে সিরি আতে এটা রোনালদোর ১০ম গোল। নিজের প্রথম ১৪ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন, জুভেন্টাসের হয়ে এরকম ঘটনা এর আগে ঘটেছিল সেই ১৯৫৭ সালে। সেবার জন চার্লস করেছিলেন এই কীর্তি। গোলের পর অতিরিক্ত উদযাপনের জন্য হলুদ কার্ডও দেখেছেন সিআর সেভেন।
শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাপোলির চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে আছে তাঁরা।