১৪ ম্যাচ পর থামল পিএসজির জয়রথ
সেই চার মাস আগে শুরু হয়েছিল ফ্রেঞ্চ লিগ, গতকাল পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলেছিল পিএসজি। সেই ১৪ ম্যাচের সবকয়টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পিএসজির জয়রথ থামাল বোর্দো। দুইবার এগিয়ে গিয়েও ২-২ গোলে ড্র করেছে পিএসজি। ১৫ তম ম্যাচে এসে এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট হারাতে হলো তাদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজি রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রেখেছিল বোর্দো ফরোয়ার্ডরা। ৯ মিনিটে জিমি ব্রিয়ান্ডের দারণ এক হেড বাঁচিয়ে দেন আরেওলা। ২২ মিনিটে প্লাসিলকেও হতাশ করেন তিনি। ৩৪ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে অবশ্য এগিয়ে যায় পিএসজিই। দানি আলভেজের বাড়ানো বলে গোল করেন নেইমার। প্রতিপক্ষের আবেদনের মুখে ভিএআর ব্যবহার করা হলেও শেষ পর্যন্ত টিকে যায় নেইমারের গোল। প্রথমার্ধের একদম শেষে ডি মারিয়ার শট বোর্দো কিপার কস্টিল ঠেকিয়ে না দিলে ব্যবধান বাড়ত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে পিএসজিকে চাপে রাখে বোর্দো। একের পর এক আক্রমণে রীতিমত নাজেহাল হয়ে পড়ে পিএসজি ডিফেন্স। আরেওলার দুর্দান্ত কিছু সেভে গোল হজম করেনি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ৫৩ মিনিটে ভাঙ্গে আরেওলার প্রতিরোধ। ইয়ান আকরামোহর পাসে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন ব্রিয়ান্ড। তাঁর ডান পায়ের শট আর ঠেকাতে পারেননি আরেওলা। গোল হজমের ৪ মিনিট পর আরেকটি দুঃসংবাদ পায় পিএসজি, ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন নেইমার।
৬৬ মিনিটে আবার পিএসজিকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে জুলিয়ান ড্রাক্সলারের দেওয়া পাসে বল জালে জড়ান তিনি। ইনজুরিতে পড়েছিলেন এমবাপ্পেও, বদলি করার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন।
ম্যাচের তখন ৬ মিনিট বাকি। আরেকটি জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে পিএসজি। ঠিক সেই সময়ই পিএসজিকে হতাশায় ডুবিয়ে সমতা আনেন আন্দ্রেস করনেলিয়াস। তাঁর দারুণ এক হেডে পিএসজির জয়রথ থামে, ২-২ গোলে ড্র হয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
১৫ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৪৩। ড্র করলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা মপেলিয়েরের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষেই আছে নেইমাররা।