• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    মেসি-রোনালদোর রাজত্ব ভেঙে ব্যালন ডি'অর জিতলেন মদ্রিচ

    মেসি-রোনালদোর রাজত্ব ভেঙে ব্যালন ডি'অর জিতলেন মদ্রিচ    

    ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসির রাজত্ব চলেছে শেষ দশ বছরে। এই দুইজন বাদে সবশেষে কেউ ব্যালন ডি'অর জিতেছিলেন ২০০৭ সালে। মেসি, রোনালদোর রাজত্বে সহজে কেউ হানা দেবে সেটা অনুমেয় ছিল না খুব বেশিদিন আগেও। কিন্তু ধারা ভেঙে দিয়ে এর আগেই ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন লুকা মদ্রিচ। এবার ব্যালন ডি'অরের গত দশ বছরের রীতিটাও ভেঙে দিলেন তিনি। ক্রোয়েশিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার পেয়েছেন ২০১৮ সালের ব্যালন ডি'অরের পুরস্কার।



    রীতি ভাঙলেও পুরনো একটা রেকর্ড নিজের ক্লাবকেও ফিরিয়ে দিচ্ছেন মদ্রিচ। রোনালদো ক্লাব ছাড়ার পর ১৮ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো রিয়ালের দলে ছিল না কোনো ব্যালন ডি'অর জয়ী খেলোয়াড়। কয়েক মাসের ব্যবধানেই সেই হাহাকারটাও ঘুচিয়েছেন মদ্রিচ। গত দুইবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী রোনালদো হয়েছেন রানারআপ। আর তৃতীয় হয়েছেন ফ্রান্সের আতোয়া গ্রিযমান। 

    তবে সবচেয়ে বড় চমক লিওনেল মেসির সেরা তিনে না থাকা। ফিফার বর্ষসেরাতেও সেরা তিনে ছিলেন না তিনি, ব্যালন ডি'অরেও ঘটল একই পরিণতি। একযুগ পর সেরা তিন থেকে বাদ পড়েছেন ৩১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন।


    বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হারলেও, ক্রোয়েশিয়াকে স্বপ্নমঞ্চে উঠিয়ে নেওয়ার মূল কারিগর ছিলেন মদ্রিচ। বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটও জিতেছিলেন তিনিই। এর আগে ক্রোয়াট অধিনায়ক রিয়াল মাদ্রিদকে টানা ৩ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোতেও রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। এতোকিছুর পর তাই মদ্রিচই ছিলেন ব্যালন ডি'অর এর মনোনয়নের প্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

     ৬৩ তম ব্যালন ডি'অরের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। অনুষ্ঠান সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন সাবেক ফ্রেঞ্চ খেলোয়াড় ডেভিড জিনোলা। এর আগে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছিলেন ফ্রান্সের ফুটবল ম্যাগাজিনটি। পরে সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়।

    তালিকায় অবশ্য বেশ কয়েকটি চমক আছে। সেরা ১০ এ জায়গা হয়নি নেইমারের, তিনি হয়েছেন ১২ তম। ২০১২ সালে সান্তোসে খেলার সময় সবশেষে ব্যালন ডি'অরের সেরা দশের বাইরে ছিলেন নেইমার। তবে আগেরবার সেরা ৩০ এ না থাকলেও করিম বেনজেমার সঙ্গে ১৭ তম স্থান যুগ্মভাবে পেয়েছেন গ্যারেথ বেল।  

    অনুর্ধ্ব-২১ বছরের নিচে খেলোয়াড়দের জন্য প্রথমবারের মতো চালু করা কোপা শিরোপা জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর নারীদের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন অলিম্পিক লিঁও স্ট্রাইকার এডা হেগেরবার্গ।


    এক নজরে সেরা ৩০ 
     

    ১. লুকা মদ্রিচ
    ২. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
    ৩. আতোয়া গ্রিযমান
    ৪. কিলিয়ান এমবাপ্পে
    ৫. লিওনেল মেসি
    ৬. মোহামেদ সালাহ
    ৭. রাফায়েল ভারান
    ৮. এডেন হ্যাজার্ড
    ৯. কেভিন ডি ব্রুইন
    ১০. হ্যারি কেইন

    ১১. এনগোলো কান্তে
    ১২. নেইমার
    ১৩. লুইস সুয়ারেজ
    ১৪. থিবো কোর্তোয়া
    ১৬. সার্জিও আগুয়েরো
    ১৭. করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল
    ১৯. রবার্তো ফিরমিনো, ইভান রাকিটিচ, সাদিও মানে
    ২২. মার্সেলো, এডিনসন কাভানি, সাদিও মানে
    ২৫. অ্যালুসন, ইয়ান অবলাক, মারিও মাঞ্জুকিচ

    ২৮. ডিয়েগো গডিন
    ২৯. ইস্কো, হুগো লরিস