ঐতিহাসিক মুহুর্তও যখন অস্বস্তিকর হেগেরবার্গের জন্য
১৯৫৬ সাল থেকে শুরু হওয়া ব্যালন ডি'অর এতদিন নির্বাচন করে আসছিল বর্ষসেরা ফুটবলার। প্রথমবারের মতো এ বছর দেওয়া হয়েছে সেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কার। নরওয়েজিয়ান ফুটবলার এডা হেগেরবার্গ পেয়েছেন প্রথম ব্যালন ডি'অর। অলিম্পিক লিঁওকে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো হেগেরবার্গের জন্য অবশ্য অবশ্য ঐতিহাসিক মুহুর্তটা যতখানি স্মরণীয় হওয়ার কথা ছিল ঠিক ততোখানি অস্বস্তিকরও হয়েছে। ব্যালন ডি'অরের গালার সঞ্চালক এক অদ্ভুত কথার জন্যই অস্বস্তিকর মুহুর্তে পড়তে হয়েছিল হেগেরবার্গকে।
সোমবার রাতে প্যারিসে ব্যালন ডি'অরের অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় হেগেরবার্গের নাম। এরপর মঞ্চে উঠে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন অলিম্পিক লিঁও ফুটবলার হেগেরবার্গ। সঞ্চালক ও ডিজে মার্টিন সলভেইগ এরপর হেগেরবার্গকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোমর দুলিয়ে নাচতে পারেন কী না? প্রশ্ন শুনে হেগেরবার্গের চোখে মুখে ফুটে ওঠা প্রচন্ড বিরক্তিটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকেই অস্বস্তিকর মুহুর্তে ফেলে দেয়। পরে হেগেরবার্গ সোজা এক কথায় "না" জবাব দিয়ে উলটো ফিরে নেমে যান মঞ্চ থেকে।
বাকিসব খেলার মতো ফুটবল থেকেও যৌন বৈষম্য মুছে ফেলা যায়নি। সলভেইগের ওই প্রশ্নটা আরও তাঁতিয়ে দিয়েছে পুরনো প্রসঙ্গটাই। যদিও অনুষ্ঠান শেষেই সলভেইগ জানিয়েছেন, নিছক মোজা করার উদ্দেশ্যেই অমন প্রশ্ন করেছিলেন তিনি, হেগেরবার্গকে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্যেই ছিল না তাঁর।
অনুষ্ঠানের পর বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে হেগেরবার্গও অবশ্য সলভেইগের দোষ দেখছেন না, "অনুষ্ঠান শেষেই সে আমার সঙ্গে দেখা করেছে। ব্যাপারটা যেরকম হয়েছে তাতে সে খুবই দুঃখ পেয়েছে। প্রশ্ন শোনার পর আমার কাছেও মনে হয়নি এটি যৌন নিপীড়নের মধ্যে পড়ে। আমি আসলে ব্যালন ডি'অর জিততে পেরেই খুশি।"