স্বস্তির জয়ে শীর্ষেই রইল সিটি
দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বেশ স্বস্তিতেই ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। শেষ বাঁশি বাজার পাঁচ মিনিট আগে ওয়াটফোর্ডের আব্দুলাই ডকুরের গোল খানিকটা অস্বস্তি ছড়াল সিটি ডাগআউটে। শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পেপ গার্দিওলার দল। এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানটা ধরে রাখল সিটিজেনরা।
শুরু থেকেই ছিল সিটিজেনদের আধিপত্য। ১১ মিনিটের মাথায় লেরয় সানের শট ঠেকিয়ে দেন ওয়াটফোর্ড গোলরক্ষক ফস্টার। ১৯ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজকেও হতাশ করেন তিনি। পরের মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ওয়াটফোর্ডের সামনে, নাথানিয়েল চালোবাহর শট বাঁচিয়ে দেন সিটি কিপার এডারসন। ৩১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসুস গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।
বেশ কয়েকবার হতাশ হওয়ার পর অবশেষে ৪০ মিনিটে গোলের দেখা পায় সিটি। মাহরেজের ক্রসে বক্সের ভেতর বল পান সানে। ছয় গজ দূর থেকে বল জালে জড়াতে এবার আর ভুল করেননি। ফস্টারকে বোকা বানিয়ে সিটিকে এগিয়ে দেন এই জার্মান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাহরেজ। হেসুসের বাড়ানো বল দারুণভাবে আয়ত্তে নিয়ে গোল করেন তিনি। ৬০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলও পেতে পারতেন মাহরেজ, তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন ফস্টার। ৬৯ মিনিটে হেসুসের আরেকটি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুই মিনিট পর ওয়াটফোর্ডের সাসেসের দারুণ এক হেড ঝাঁপিয়ে পরে ঠেকিয়ে দেন এডারসন।
ম্যাচের তখন পাঁচ মিনিট বাকি। আব্দুলাই ডকুরের দুর্দান্ত এক শটে ভাঙল এডারসনের প্রতিরোধ। শেষের দিকে সমতা ফেরাতে মরিয়া ছিল ওয়াটফোর্ড। ৮৭ মিনিটে ট্রয় ডেনির হেড এডারসন বাঁচিয়ে না দিলে হয়ত ম্যাচে সমতা এনেই ফেলত তারা। রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সিটি।
১৫ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে সিটি। ৩৮ গোল ব্যবধান রেখে ১২৫ বছরের মাঝে নতুন রেকর্ড গড়েছে তারা, এতো বছরের মাঝে লিগের প্রথম ১৫ ম্যাচে এতো ভালো গোল ব্যবধান ছিল না কোনো ক্লাবের। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের চাপের ওপর রেখেছে লিভারপুল।