বর্ণবাদ উস্কে দেওয়ার জন্য মিডিয়াকেই দুষলেন স্টার্লিং
চেলসির বিপক্ষে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন রাহিম স্টার্লিং- চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচের পর উঠেছে এমন অভিযোগ। সেটা নিয়ে তদন্তে নেমেছে লন্ডন পুলিশ। কিন্তু ম্যাচের পরদিন আর চুপ থাকতে পারেননি স্টার্লিং, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন প্রতিবাদ করতে। ইন্সটাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে স্টার্লিং দোষ দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকেই। মিডিয়ার দ্বিমুখী আচরণ বর্ণবাদকে উস্কে দেয় বলে দাবি করেছেন স্টার্লিং।
ইন্সটাগ্রামের ওই পোস্টে স্টার্লিং উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন ডেইলি মেইলের দুইটি খবরের শিরোনাম। আলাদা করে দুইটি স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন সেটা। এরপর লিখেছেন, "শুভ সকাল, আমি সাধারণত খুব বেশি কথা বলি না। কিন্তু যখন প্রয়োজন তখন আমাকে বলতেই হবে। চেলসি ম্যাচের ওই ঘটনার পর দেখেছেন আমি হেসেছি। কারণ এছাড়া আর কী বা করার ছিল আমার!"
এরপরই নিজের স্ক্রিনশটের ব্যাখ্যা দেন স্টার্লিং। ম্যান সিটিতে স্টার্লিংয়ের দুই তরুণ সতীর্থ আদারাবিও ও ফিল ফোডেনকে নিয়ে ছিল দুই খবরের শিরোনাম। দুইটি খবরের মূল সারাংশ ছিল এক, তরুণ দুই খেলোয়াড় বাড়ি কিনেছেন। কিন্তু শিরোনাম দুইটি ছিল আলাদা। সেটা নিয়েই অভিযোগ স্টার্লিংয়ের। কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় আদারাবিওর ব্যাপারে গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত ডেইলি মেইলের ওই খবরের শিরোনামে বলা হয়, "তরুণ ম্যান সিটি খেলোয়াড়, বয়স ২০, সপ্তাহে পান ২৫০০০ পাউন্ড, প্রিমিয়ার লিগে এখনও এক ম্যাচও খেলেননি- তিনি বাড়ি কিনেছেন ২.২৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে।" আর শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় ফোডেনের ব্যাপারে ওই একই পত্রিকায় বলা হয়েছে, "২ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে মায়ের জন্য বাড়ি কিনেছেন ফোডেন।"
স্টার্লিংয়ের যুক্তি, দুই খেলোয়াড়ই তরুণ, তাঁরা বাড়ি কিনেছে আসলে মায়ের জন্যই। কিন্তু দুইটি খবর দুইভাবে প্রচার করা হয়েছে একই পত্রিকায়। আর এই ব্যাপারগুলোই ইংল্যান্ডে বর্ণবাদকে উস্কে দিচ্ছে বলে মত স্টার্লিংয়ের। এ ব্যাপারটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য জানিয়ে স্টার্লিং এখান থেকেই ফিরে আসার আহবান জানিয়েছেন নিজের পোস্টে।
স্টার্লিংয়ের সঙ্গে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। বিশ্বকাপের সময় পায়ে করা বন্দুকের ট্যাটুর জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। পরে স্টার্লিং জানিয়েছিলেন নিজের বাবার স্মৃতিতে ওই ট্যাটু করিয়েছেন তিনি। স্টার্লিংয়ের বয়স যখন ২ বছর তখন বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তার বাবা। এবার সংবাদমাধ্যমের বিপক্ষেই দাঁড়িয়েছেন স্টার্লিং।