• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    এভারটনকে হারিয়ে লিভারপুলকে চাপে রাখল সিটি

    এভারটনকে হারিয়ে লিভারপুলকে চাপে রাখল সিটি    

    এভারটনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানে আবারও উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের কাজ সেরে এবার তারা বলটা পাঠিয়ে দিয়েছে লিভারপুলের কোর্টে। শীর্ষস্থান ফিরে পেতে হলে রবিবার অ্যানফিল্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে হবে লিভারপুলকে। ড্র করলেও এক পয়েন্টে পিছিয়ে থাকবে অলরেডরা।    


    শুরুতে উজ্জ্বল ছিল এভারটনই 
    চেলসির কাছে আগের সপ্তাহে হার, এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগেও নড়বড়ে ছিল সিটি। ম্যানচেস্টারের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় এভারটনের বিপক্ষেও শুরুটা অগোছালো ছিল পেপ গার্দিওলার দলের। বল পজেশন শুরু থেকেই বেশি ছিল সিটির, কিন্তু এভারটনের প্রেসিংয়ে ধুঁকতে হচ্ছিল সিটির রক্ষণকে। প্রথম দশ মিনিটে বেশ কয়েকটি ভুল পাসও দিয়েছে তারা। 

    গোলে প্রথম শটও এভারটনেরই। মাত্র ৩ মিনিটেই কালভার্ট লুইনকে গোলবঞ্চিত করেন এডারসন মোরায়েস। এরপর রিচার্লিসনও একটি ভলি করেছিলেন, কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট। 

    অবশেষে হাসলেন হেসুস 
    গ্যাব্রিয়েল হেসুসের হাসির সঙ্গে ফিরেছে সিটির স্বস্তিও। শেষ প্রিমিয়ার লিগে গোল পেয়েছিলেন ১১ ম্যাচ আগে, আগস্ট মাসে। এরপর কেটেছে ৪৮৭ মিনিট। গোলে ১৮ শট করেও ৪৮৭ মিনিট ধরে গোল পাচ্ছিলেন না হেসুস। ম্যাচের ২২ মিনিটে আর লিরয় সানের থ্রু পাস ধরে সামনে এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ না দিয়েই গোল খরা কাটান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।

     



    পিকফোর্ডের জোড়া সেভ
    প্রথমার্ধে দুইটি অসাধারণ সেভ করে সিটিকে আটকে রেখেছিলেন জর্ডান পিকফোর্ড। প্রথম গোলের আগেই আত্মঘাতী গোল হজমের হাত থেকে দলকে বাঁচিয়েছিলেন। এরপর প্রথমার্ধের শেষ দিকে রিয়াদ মাহরেজের সাইড ভলিও ঠেকিয়ে দিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের আগেই খেলা সিটির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়নি পিকফোর্ডের কল্যাণেই। 

    হেসুস ২, সানে ২ 
    পিকফোর্ড অবশ্য খুব বেশিক্ষণ আর দ্বিতীয় গোল করা থেকে সিটিকে বিরত রাখতে পারেননি। ৫০ মিনিটে সেই সানেই আবার অ্যাসিস্ট করলেন, গোল করলেন হেসুস। এবার বামদিক থেকে উড়ে আসা ক্রসে হেডে জাল খুঁজে পেলেন সিটি স্ট্রাইকার। এর আগে প্রিমিয়ার লিগে সানের ২৩ অ্যাসিস্টের কোনটাই ছিল না হেসুসের জন্য, আর করলেন দুইটি। তাতে প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করানোদের তালিকায় এডেন হ্যাজার্ডের সঙ্গে বসলেন শীর্ষস্থানে (৮)। 

    স্টার্লিং নামলেন, দেখলেন, জয় করলেন 
    ৬৫ মিনিটে সিটিজেনদের অবাক করে এক গোল শোধ করে দিয়েছিল এভারটন। লুকাস ডিনিয়ের ফার্স্ট টাইম ক্রস থেকে হেডে গোল করেন কালভার্ট লুইন। বল সিটির গোললাইন অতিক্রম করার আগে অবশ্য একবার ফাবিয়ান ডেলফের মাথাও ছুঁয়ে গেল। ওই গোলে তাই ম্যাচের ২৫ মিনিট বাকি থাকতে কিছুটা চাপেই পড়ে যায় ঘরের দল। ৬৬ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন রাহিম স্টার্লিং। বর্ণবাদের শিকার হয়ে গত সপ্তাহজুড়ে আলোচনায় ছিলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। মিডিয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। মাঠেই নেমেও একটা জবাব দিলেন। তিন মিনিটের মধ্যেই স্বস্তি ফিরিয়ে আনলেন ইতিহাদে। স্টার্লিংও গোল করলেন হেডে, ফার্নান্দিনহোর ক্রস থেকে। এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো  হেডে গোল করলেন স্টার্লিং।