• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    অবিশ্বাস্য জিম্বাবুয়ে, হতবাক বয়কট

    অবিশ্বাস্য জিম্বাবুয়ে, হতবাক বয়কট    

    “তোমাদের মত অপেশাদার দলগুলোর এই এক সমস্যা, তোমরা জানো না কিভাবে ‘স্ট্রাইক’ পরিবর্তন করতে হয়, সিঙ্গেল আদায় করে নিতে হয়। মধ্যাহ্নভোজনের পর পেশাদারদের দেখো। তারা শুধু ‘গ্যাপ’ বের করে ঠেলে দেবে বল, এক-দুই করে নিয়ে খুব সহজেই জিতে যাবে ম্যাচটা।”

    বক্তব্যটি ইংলিশ গ্রেট জিওফ বয়কটের। উপলক্ষ ৯২’-এর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার একটি ম্যাচে জিম্বাবুয়ানদের শোচনীয় ব্যাটিং। সময়টা দুই ইনিংসের মাঝের বিরতি। ও, কথাগুলো যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল, তিনি জিম্বাবুয়ের তৎকালীন অধিনায়ক ডেভ হাউটন।

    আগের সব কয়টা ম্যাচ হেরে আনুষ্ঠানিকতার শেষ ম্যাচে এসে প্রথমে ব্যাট করে কোন দল যদি ১৩৪ রানে অল-আউট হয়, তাদের কাপ্তানকে লক্ষ্য করে খোঁচামূলক উপদেশ হিসেবে উপরোক্ত উক্তিগুলোকে খুব কঠোর বলা যাবে না। তবে সাবেক ইংলিশ খেলোয়াড় বয়কট যদি ঘুণাক্ষরেও জানতেন কি হতে যাচ্ছে সেদিনের ম্যাচে, নির্ঘাত মুখে কুলুপ এঁটেই বসে থাকতেন তিনি।

     

    ছবি-সৌজন্যঃগেটিইমেজ

     

    মধ্যাহ্নভোজনের পর ১৩৪ রানের ‘মামুলি’ সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নের পথে ইংলিশ অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ। তা হোক, লক্ষ্যমাত্রা যখন ১৩৫, দুশ্চিন্তার তো কোন কারণই থাকার কথা নয়। তবে বয়কট সহ সকল ইংলিশ সমর্থকের মুখে দুশ্চিন্তার ছায়া পড়ল, বেশ গাড় হয়েই, যখন ৪৩ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরলেন গ্রায়েম হিক। এরমধ্যে চারজনকেই ফিরিয়েছেন পুরো আসরে ব্যর্থ জিম্বাবুয়ান পেসার এডো ব্র্যান্ডেস।

    পুরোপুরি খোলসবন্দী হয়ে পড়লেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান নেইল ফেয়ারব্রাদার ও অ্যালেক স্টুয়ার্ট। শট খেলা তো দূর অস্ত, ‘সিঙ্গেল’ নেওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রায়। কি পরিমাণ ধীরগতির ব্যাটিং তাঁরা করেছিলেন তাঁর প্রমাণ শেষ ওভারে নিয়ে গিয়েও ম্যাচটা জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। ৫ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ‘পেশাদার’ দলটি। জিম্বাবুয়ের ১৩৪ রান তখনও ৯ রান দূরের পথ।