'এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় সেটা সাকিব দেখিয়েছে'
ক্ষোভের প্রথম ঝালটা ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেই ঝেড়েছেন সাকিব আল হাসান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮ উইকেটের অমন হারের পর ‘আজ কোথায় ভুল হয়েছে’- প্রশ্নকর্তার এমন সওয়ালে সাকিব বলেছেন, ‘সবখানেই’। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কথায় হতাশাটা আরও বেরিয়ে এলো, ‘অন্যরা কেন এভাবে আউট হলো সেটা তো আমি বলতে পারব না। আমি শুধু নিজের ব্যাটিং নিয়েই কথা বলতে পারব।’
সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সাকিব আল এলেন না। অধিনায়কের রাগ বা হতাশার বাকি পর্বটা অজানাই রয়ে গেল। তবে যিনি এলেন, ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতাটা তাঁর কপালেও ভাঁজ জমানোর কথা। মাস পাঁচেক হয়েছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়েছেন নিল ম্যাকেঞ্জি। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটে-বলে দলের এমন পারফরম্যান্সও দেখতে হয়নি। তবে তিনি নিজে ব্যাটিং কোচ বলে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কথাই আগে এলো।
বিশেষ করে টপ অর্ডারের প্রথম তিন জন যেভাবে আউট হয়েছেন, তাতে ব্যাটসম্যানদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। তামিম, সৌম্য, লিটন- তিন জনই শর্ট পিচ বলে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন মিড উইকেটে। এক সাকিব ছাড়া বাকিরা কেউই উইকেটে থাকতে পারেননি। অথচ সাকিব নিজেই বলেছেন, এটা অন্তত ১৭৫ করার উইকেট। তাহলে টি-টোয়েন্টি এলেই কি ব্যাটসম্যানদের সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়? ম্যাকেঞ্জি অবশ্য সেরকম মনে করছেন না, ‘না, আমার মনে হয় ব্যাপারটা সেরকম নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েও তো টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলেছিল সবাই। আজ আসলে একটা খারাপ দিন গেছে। আর টি-টোয়েন্টিতে এরকম একটা দিন আসতেই পারে।’
বরং, ম্যাকেঞ্জি মনে করছেন, সাকিবকে দেখে বাকিদের একটু শেখা উচিত ছিল, ‘আমার মনে হয় সাকিবকে দেখে ওদের বোঝা উচিত ছিল, কীভাবে পেসটা সামলাতে হবে। ওদের সবাই দ্রুতগতির পেসার, এজন্য উইকেটের সামনে না খেলে একটু স্কোয়ারে খেলা যেত। সাকিব যেটা করে দেখিয়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরেকটু বেশি স্মার্ট হওয়া উচিত ছিল, গেমপ্ল্যানটা আরেকটু ভালো হওয়া উচিত ছিল। আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা আজ একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল। সেটাই কাল হয়েছে।’