হ্যাজার্ডদের জন্য মানসিক চিকিৎসক চান সারি!
লেস্টার সিটির কাছে হারের পর চেলসি ফুটবলারদের মানসিক ধন্দকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। দলের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে মাউরিসিও সারি এবার নতুন এক পন্থা অবলম্বনের চিন্তা করছেন। খুব তাড়াতাড়িই এডেন হ্যাজার্ডদের জন্য মানসিক চিকিৎসক নিয়োগের আভাস দিয়েছে সারি।
এই মাসের শুরুতে উলভারহ্যাম্পটনের কাছে ২-১ গোলে হারের পর সারি বলেছিলেন, হারের কারণটা আসলে খেলার ধরন কিংবা শারীরিক নয়, পুরোপুরি মানসিক। গত শনিবার লেস্টার সিটির কাছে ১-০ গোলে হারের পরেও একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন তিনি।
এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচে হেরেছে চেলসি। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে এরই মাঝে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে গেছে তাঁরা। সারি জানিয়েছেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের ব্যাপারটা আলোচনা করবেন, ‘এই মুহূর্তে দলে কোনো মনোবিজ্ঞানী নেই। এটা আসলে সহজ বিষয় না। ১৫ বছর আগে আমার একজন মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। ইতালিতে ওই মুহূর্তে এরকমটা হওয়া কঠিন ছিল কারণ ক্লাবের অন্যরা এটার জন্য তৈরি ছিল না। হয়ত সেখানে এখনো কেউ তৈরি না। ইংল্যান্ডে কী অবস্থা সেটা জানি না। ক্লাবের সাথে এই ব্যাপারে কথা বলাই যায়!’
চেলসি ফুটবলারদের মানসিক ধন্দ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন সারি, ‘এটা পরিষ্কার যে আমরা নিজেদের খেলার ধরনের জন্য হারিনি। কিছুটা দুর্ভাগ্য তো ছিলই, যখন গোল খেয়ে বসি, এরপরই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। ম্যাচ কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল, শুধু এটা ধরে রাখলেই হতো।’
কিন্তু কেন এই মানসিক ধন্দের ব্যাপারগুলো আসছে ফুটবলারদের মাঝে? অতিরিক্ত ম্যাচ খেলাতেই কি এমনটা হচ্ছে? সারি অবশ্য ব্যস্ত সূচিকে দোষারোপ করছেন না, ‘আমাদের কেউই অনেক বেশি সময় ধরে মাঠে থাকে না। দুই মিনিটের মাঝে শারীরিক সক্ষমতা পাল্টে যাওয়া তাই অসম্ভব। ৫৫ মিনিট ধরে আমরা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছি। আর দুই মিনিট পর গোল হজম করে আমরা বিপদে পড়ে গেলাম বাকি সময়ে! এটা আসলে শারীরিক নয়, মানসিক সমস্যা।’
শেষ পর্যন্ত হ্যাজার্ডদের জন্য মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেয় কিনা চেলসি, সেটাই দেখার বিষয়।