নিউক্যাসলকে গুড়িয়ে উড়ছে লিভারপুল
বক্সিং ডে এর চেয়ে ভালো হতে পারত না ইয়ুর্গেন ক্লপের জন্য। নিউক্যাসলকে ৪-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের কাজটা তো তারা সেরে রেখেছেই। প্রিমিয়ার লিগে টানা ৮ জয়ের পর আরও একটা সুসংবাদ পেয়েছেন ক্লপ। লেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে দেওয়ায় টেবিলের শীর্ষে লীডটা এখন ৬ পয়েন্টের 'অল রেড'দের। ১৯ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে মোহামেদ সালাহরা। প্রিমিয়ার লিগের একমাত্র অপরাজিত দল এখনও তারাই। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এবারই প্রথম টেবিলের শীর্ষে ৬ পয়েন্টের লিডে থাকল লিভারপুল।
অ্যানফিল্ডে আজ বেশ আক্রমণাত্মক দলই নামিয়েছিলেন ক্লপ। মাঝমাঠে নবী কেইটার বদলে নেমেছিলেন ফর্মে থাকা জের্দান শাকিরি। লিড নিতেও একেবারেই সময় নেয়নি তারা। ম্যাচের ১১ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের কর্নার ক্লিয়ার করেন নিউক্যাসল ডিফেন্ডার জামাল লাসেলস। গোলের প্রায় ১৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক হাফভলিতে দলকে লিড এনে দেন ডিফেন্ডার দেয়ান লভ্রেন। গোলের পর যেন আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় লিভারপুল। ১৯ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত তারা, কিন্ত নিউক্যাসল গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন সাদিও মানে। ক্লপের 'গেগেনপ্রেসিং'-এর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি 'ম্যাগপাই'রা। ২৫ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু সালাহর শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক দুভ্রাকা। প্রথমার্ধে গোলরক্ষকের কারণেই মাত্র এক গোলে পিছিয়ে ছিল 'অল রেড'রা।
এক গোলে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের ফেরার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় লিভারপুলের। ৪৭ মিনিটে সালাহকে ডিবক্সে ফেলে দিয়ে লিভারপুলকে পেনাল্টি উপহার দেন নিউক্যাসল ডিফেন্ডার পল ডামেট। ১২ গজ থেকে দুভ্রাকাকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি মিশরীয় ফরোয়ার্ড। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ায় ম্যাচে ফেরার ইচ্ছাশক্তিও যেন হারিয়ে ফেলে নিউক্যাসল। পুরো ম্যাচে অ্যালিসনের গোলে তারা শটই নিতে পেরেছে মাত্র দু'বার। ম্যাচের বাকিটা সময় 'বাস পার্ক' রক্ষণে আর গোল না খাওয়ার উদ্দেশ্যেই যেন লেগে ছিল তারা।
কিন্তু তাতেও খুব একটা সফল হতে পারেনি তারা। ৭৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের নিচু ক্রস থেকে বাঁ-পায়ের আলতো টোকায় গোল করেন শাকিরি। ম্যাচের ৮৩ মিনিটের সময় রিকার্ডোর গোলে সিটির বিপক্ষে লেস্টার লিড নিলে আবারও উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো অ্যানফিল্ড। এর মিনিট দুয়েক পর আবারও এক কর্নার থেকে হেড করে নিউক্যাসলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ফাবিনহো। শেষ বাঁশিতে নিশ্চিত হয় সিটির হার এবং নিজেদের বড় জয়। সেজন্যই সমর্থকদের জোর গলায় 'ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন' গানের মাঝে বড়দিনের উৎসবের আমেজেই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।