কৌলিবালির পাশে ফুটবলবিশ্ব
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচে কালিদু কৌলিবালি বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন সান সিরোতে। ওই ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার সময় ইন্টার সমর্থকদের একটি অংশ কৌলিবালিকে উদ্দেশ্য করে বানরের মতো বিদ্রুপ করে। এরপর সেই ঘটনা গড়িয়েছে বহুদুর। নাপোলি ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ম্যাচ বর্জনের হুমকি দিয়েছেন। ইন্টার মিলানকেও ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ দর্শনশুন্য স্টেডিয়ামে খেলার শাস্তি দেওয়া হয়েছে সিরি আ কমিটির পক্ষ থেকে।
বর্ণবাদের শিকার হয়ে কৌলিবালি অবশ্য মানসিক ভাবে শক্তই আছেন। তার পক্ষে দাঁড়িয়েছে ফুটবল বিশ্বও। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফুটবল ও ফুটবলের বাইরেও সম্মান করার মানসিকতা ও সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লিখেছেন। বর্ণ বৈষম্য ও যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিপক্ষে নিজের শক্ত অবস্থানও বর্ণনা করেছেন নিজের পোস্টে। কৌলিবালির সেনেগালিজ সতীর্থ ও লিভারপুল ফরোয়ার্ড সাদিও মানে লিখেছেন, "তোমাকে যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সেটা জেনে আমি মর্মাহত ও আতংকিত। কিন্তু আমি জানি এসব লোকের কোনো ঘৃন্য কাজ যারা করে তারা তোমার ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। আমরা আমাদের গায়ের রঙ নিয়ে গর্বিত এবং আমরা এভাবেই আমাদের দেশের জন্য একসঙ্গে লড়ে যাব।"
মানের লিভারপুল সতীর্থ মোহামেদ সালাহও রোনালদোর সুরেই বলেছেন, বর্ণবাদের জায়গা শুধু ফুটবল নয় কোথাও নেই। যে ইন্টার সমর্থকদের কাজে নড়ে চড়ে বসেছে ফুটবল বিশ্ব, তাদের অধিনায়ক মাউরো ইকার্দিও জোর গলায় সমালোচনা করেছেন নিজের সমর্থকদের। ইনস্টাগ্রামে কৌলিবালির সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে পুরো ঘটনা নিয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
নাপোলি ফরোয়ার্ড ড্রিস মার্টেনস কৌলিবালির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ কৌলিবালি। নাপোলি ডিফেন্ডারকে সমর্থন দিয়েছেন মারিও বালোতেল্লি ও কেভিন প্রিন্স বোয়াটেংও। এই দুইজন আগেও বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন ইতালির ক্লাবের হয়ে খেলার সময়।
সবকিছুর পর কৌলিবালি নিজেও মানসিকভাবে শক্তই আছেন। ইন্টারের সঙ্গে ম্যাচের পর তিনি লাল কার্ডের জন্য দুক্ষ প্রকাশ করেছেন নিজের সমর্থকদের কাছে।