• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    শীতকালীন দলবদল : ক্লাব বদলাবেন কারা?

    শীতকালীন দলবদল : ক্লাব বদলাবেন কারা?    

    শীতকালীন দলবদলের বাজার শুরু হয়ে গেছে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই। ইউরোপের বড় দলগুলোও তাই মৌসুমের মাঝের সময়ে দলের শক্তি বাড়াতে মন দেবে। দলবদলের মৌসুমে বড় ক্লাবগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ার আগে কোন খেলোয়াড়েরা দল বদলাতে পারেন তাদের তালিকাটা দেখে নেওয়া যাক। 

    গ্যারি কেহিল (চেলসি)
    ৩৩ বছর বয়সী চেলসি অধিনায়ক নতুন কোচ মরিজিও সারির অধীনে একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। কালেভদ্রে সুযোগ মিলছে দলে। কেহিলের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই। ইএসপিএন বলছে, শীতকালীন দলবদলের বাজারেই কেহিলকে ছেড়ে দিতে চাইছে চেলসি। 

    আদ্রিয়েন রাবিও (পিএসজি) 
    পিএসজি মিডফিল্ডারকে দলে পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে বার্সেলোনা। লিভারপুলও অনেকদিন ধরেই তার ব্যাপারে আগ্রহী। পিএসজিও তাকে  ছাড়তেই চাইছে। ধারণা করা হচ্ছে ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে পেতে দুই ক্লাবের মধ্যেই লড়াইটা হবে। 

    গঞ্জালো হিগুয়াইন (মিলান)
    জুভেন্টাস থেকে এসি মিলানে গিয়ে খেই হারিয়েছেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। অন্যদিকে চেলসি ধুঁকছে একজন গোলস্কোরারের অভাবে। সারি আর হিগুয়াইনের সম্পর্কটা পুরনো। দুইজনই দুইজনের গুণমুগ্ধ। সারির অধীনেই নাপোলিতে থাকতে ইতালির এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন হিগুয়াইন। সব কিছু মিলিয়ে তাই ধরা হচ্ছে হিগুয়াইনকে দলে টানতে চাইছে চেলসি। কিন্তু সমস্যা অবশ্য অন্য জায়গায়। হিগুয়াইনকে ধারে মিলান পাঠিয়েছিল জুভেন্টাস। হিসাবে তাই হিগুয়াইনের স্বত্ব এখনও জুভেন্টাসের কাছেই। সেক্ষেত্রে তিনমুখী কোনো সমাধানের পথে হাঁটতে পারে তিন ক্লাব। 

    আলভারো মোরাতা (চেলসি)
    তিনমুখী সমাধানের আরেকটি অংশ আলভারো মোরাতা। স্প্যানিশ স্ট্রাইকার যে ইংল্যান্ডে সুখে নেই, সেটা কোনো গোপন তথ্য নয়। ফর্ম ফিরে পেতে তাই ইংল্যান্ড ছাড়ার কথা ভাবছেন মোরাতা। হিগুয়াইন চেলসিতে যোগ দিলে, বিপরীত দিক থেকে মোরাতা যেতে পারেন মিলানে। আর জুভেন্টাস নিজেদের সুবিধামতো টাকার অংক বসিয়ে নিতে পারে সেই চুক্তিতে। অথবা চুক্তিতে থাকতে পারে নতুন কোনো শর্ত। 

    ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ (ডর্টমুন্ড)
    জর্ডান সাঞ্চোর কাছে জায়গা হারিয়ে দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন পুলিসিচ। যুক্তরাষ্ট্রের ফরয়ার্ডের ক্লাব ছাড়াটা প্রায় নিশ্চিত। বুন্দেসলিগার টেবিল টপাররা বড়জোর গ্রীষ্মের দলবদল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন পুলিসিচের জন্য। কিন্তু পুলিসিচকে বিক্রি করাটা নাকি নিশ্চিতই বলে জানাচ্ছে ইএসপিএন। চেলসির স্ট্রাইকার সংকট পূরণ করতে পুলিসিচ হতে পারেন দারুণ রিপ্লেসমেন্ট। 

    মেসুত ওজিল (আর্সেনাল)
    ওজিলের আর্সেনাল ছাড়ার কথা একবারও উড়িয়ে দেননি ম্যানেজার উনাই এমেরি। ওজিলও এমেরির সুনজর হারিয়েছেন।কিন্তু ৩০ বছর বয়সী ওজিল আবার চড়া বেতনও পাচ্ছেন আর্সেনালের কাছ থেকে। এই বয়সে ওজিলকে এমন চড়া বেতন দিয়ে নিতে আগ্রহী ক্লাবের সংখ্যা অল্পই হওয়ার কথা। 

    সেস ফাব্রিগাস (চেলসি)
    ৩১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের চুক্তির মেয়াদ আছে আর মাত্র ৬ মাস। এরপরই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন ফাব্রিগাস।ত্রিশোর্ধ্ব খেলোয়াড়দের নতুন করে আর চুক্তি না দেওয়ার পক্ষে মত চেলসি বোর্ডের। সেক্ষেত্রে শীতকালীন দলবদলের বাজারে ফাব্রিগাসকে ছেড়ে দিলে কিছু আয় করা সম্ভব চেলসির। ম্যানচেস্টার সিটির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও সেটা নাকচ হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছে ইএসপিএন।