মাশরাফির উদাহরণ 'পাশ কাটিয়ে' গেলেন নাফীস
২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরের সময় চোট থেকে সেরে উঠেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সে সময় কোনো দল নিতে চায়নি তাঁকে, পরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস তাঁকে দলে নিয়ে তুলে নিয়েছিল অধিনায়কত্ব। শিরোপা জিতিয়েই প্রতিদান দিয়েছিলেন মাশরাফি। নিজেকে প্রমাণ করার মাশরাফির ওই জেদ আজ মনে করিয়ে দেওয়া হলো শাহরিয়ার নাফীসকে। তবে নাফীস বলটা ‘লিভ’ করে জানালেন, এখনই এত কিছু নিয়ে ভাবছেন না।
মাশরাফির সঙ্গে তুলনাটা আসছে এবারের বিপিএলের কারণে। ড্রাফটে শুরুতে নাফীসকে নেয়নি কোনো দল, পরে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছে রাজশাহী কিংস। নিজেকে প্রমাণ করার একটা বাড়তি জেদ নাফীসের থাকবে কি না, এমন প্রশ্ন উঠলই। নাফিস অবশ্য প্রসঙ্গটা এড়িয়েই গেলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি দল পাওয়া বা না পাওয়ার ব্যাপারটি সবসময় তো ক্রিকেটারদের হাতে থাকে না। তবে আমি চেষ্টা করি ব্যক্তিগতভাবে যখনই যে দলের হয়ে খেলি তখনই সেরাটা দেয়ার। আমি রাজশাহী কিংস কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমাকে তারা বিবেচনা করেছেন এবং ড্রাফটের পরে আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করবো আমার যে সামর্থ্য এবং অভিজ্ঞতা আছে তা দিয়ে সার্বিকভাবে খেলা এবং যতটুকু সম্ভব অবদান রাখা।’
এবারের বিসিএলে প্রথম দুই ম্যাচে তিন ফিফটি পেলেও সর্বশেষ তিন ম্যাচে রান পাননি নাফীস। বিপিএলে সামনের দিকেই তাকাতে চান, তবে আলাদা করে ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্যের কথা বললেন না, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলতে যে পজিশন কিংবা পরিস্থিতিতে খেলি না কেন সেই পরিস্থিতি থেকে দলের স্কোরবোর্ডে জয়ের জন্য যতটুকু প্রয়োজন...সেটি কখনো ৩০ বলে ৪০ রান প্রয়োজন হতে পারে।কোনো সময় ৩০ বলে ৭০ রান প্রয়োজন হতে পারে, সেই অনুযায়ীই খেলার চেষ্টা করবো।’
সৌম্য, মোস্তাফিজ, মুমিনুল, জাকিরদের মতো খেলোয়াড় আছে রাজশাহীতে। নাফীস এটা মানছেন বড় শক্তি হিসেবে, ‘আপনি যদি সবগুলো দলের সাথে তুলনা করেন আমি বলবো আমরা স্থানীয় ক্রিকেটারের দিক থেকে সবথেকে ভারসাম্যপূর্ণ দল। পাশাপাশি যারা বিদেশি ক্রিকেটার আসছে তারা সবাই টি টুয়েন্টির জন্য অনেক কার্যকরী। আমি মনে করি রাজশাহী কিংস অনেক ব্যালেন্সড একটি দল এবং তারা যেকোনো দিন যেকোনো দলকে হারানোর সক্ষমতা রাখে। আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলের প্রথম লক্ষ্য থাকে কোয়ালিফাই পর্যন্ত যাওয়া এবং এরপর পরবর্তী পরিকল্পনা করা। আমাদের সেই চেষ্টাই থাকবে যে দলগতভাবে ভালো পারফর্মেন্সের মাধ্যমে কোয়ালিফাই পর্যন্ত যাওয়া। এরপরেরটা পরেই দেখবো ইনশাল্লাহ।’
আপাতত জাতীয় দল বা সেরকম কিছু ভাবছেন না, মনযোগ দিতে চান বিপিএলেই, ‘আমি একটা জিনিস সবসময় ফলো করার বা মেনে চলার চেষ্টা করি, আমি যে দলের পক্ষে খেলি সেই দলের পক্ষেই খেলার চেষ্টা করি। অন্য কোনও চিন্তা বা বিপিএলের মাধ্যমে জাতীয় দলে খেলা- ঐ ধরণের পরিকল্পনা বা ভিশন আমার মধ্যে নেই, তবে চেষ্টা করবো সবসময় ভালো পারফর্ম করতে। কারণ একজন ক্রিকেটার সিলেকশনের প্রথম শর্তই হলো তাঁর পারফরম্যান্স। আমি যদি নিয়মিত পারফর্ম করি এবং ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন হয় কিংবা আমার সার্ভিসের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আমি যেন প্রস্তুত থাকতে পারি সেটাই চেষ্টা থাকবে।’